সুদীপ্তা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিয়ের ঘোর এখনও কাটেনি টেলিপাড়ায়, এর মাঝেই বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন অভিনেত্রী মিষ্টি সিং। আগামী ১৮ই মে নার্সারি স্কুলের বন্ধু রেমোর গলায় মালা দেবেন মিষ্টি। দীর্ঘ ১৪ বছরে প্রেম সম্পর্ক তাঁদের। কিন্তু বিয়ের খবর সামনে আনার আগে প্রেম সম্পর্কের কথা কোনওদিন প্রকাশ্যে আনেননি মিষ্টি। ‘যদি নজর লেগে যায়…’, এর জেরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেম-প্রদর্শন থেকে বিরত থেকেছেন বাংলা টেলিভিশনের ভাদু। তবে প্রাক-বিয়ের অনুষ্ঠানের ছবি পোস্ট করে পড়তে হল ট্রোলিং-এর মুখে।
কিশোরবেলার প্রেম পূর্ণতা পাচ্ছে। মিষ্টি আগেই জানিয়েছেন মন্ত্র পড়ে বিয়ে সারবেন না তিনি, আইনিভাবেই চারহাত এক হবে দুজনের। সঙ্গে থাকবে মালাবদল ও সিঁদুরদান। আগামী বৃহস্পতিবার বাইপাসের ধারে একটি বিলাসবহুল হোটেলে বসবে মিষ্টি-রেমো বিয়ে ও রিসেপশনের আসর। তবে প্রাক-বিয়ের অনুষ্ঠান জমিয়ে সেরেছেন তাঁরা। রবিবার ছিল মিষ্টি-রোমোর গায়ে হলুদ ও মেহেন্দির আসর। সেই ছবি প্রকাশ্যে আসার পর ভক্তরা ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন মিষ্টিকে। কিন্তু অনেকেই বিদ্রুপ করতে ছাড়লেন না।
মিষ্টির গায়ে হলুদের নানান ফ্রেমবন্দি মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন অভিনেতা রৌনক দে ভৌমিক। সেখানে মিষ্টিদির বিশেষ দিনের নানান মুহূর্ত তুলে ধরেন কৃষ্ণকলি খ্যাত অভিনেতা। যা দেখে এক নেটিজেন লেখেন- ‘বাঙালিদের আবার হলদি হয়? গায়ে হলুদ বলতে লজ্জা পায় মনে হয় রৌনক’। পালটা জবাব দিতে ছাড়েননি রৌনক। ট্রোলারের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘বাঙালিদের গায়ে হলুদ তো বিয়ের দিন এ হয়, আলাদা করে কোনও সেরেমানি হয় না। এটা একটা আলাদা করে হলদি সেরেমানি… যেমনটা অনান্য ভারতীয় বিয়ের অনুষ্ঠানে হয়ে থাকে, তাই হলদি…. বাঙালি হয়ে গায়ে হলুদ বলতে লজ্জা পাব সেরকম মানসিকতা ভাববার কোন কারণ নেই।’
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, জন্মসূত্রে কিন্তু বাঙালি নন, মিষ্টি রাজপুত। তবে অভিনেত্রীর তিন প্রজন্মের বাস কলকাতায়। বাড়িতে বাঙালি ট্র্যাডিশনই মেনে চলা হয়, জানিয়েছেন অভিনেত্রী। পরিবারের কেউই হিন্দিতে কথাও বলে না। মন্ত্রোচ্চারণ করে বিয়ে করছেন না বলেই গায়ে হলুদ-সহ বাকি কোনও সামাজিক অনুষ্ঠান হবে না মিষ্টি ও রেমো-র। তবে বন্ধুদের নিয়ে রবিবার আনন্দ-উদযাপনে মেতে উঠেছিলেন দুজনে।
বিয়ের দিন লেহেঙ্গায় সাজবেন মিষ্টি। তাঁর কথায়, ‘সিরিয়ালে এতবার বাঙালি কনে সেজেছি, ভাবলাম এবার অন্যরকম কিছু সাজি’। গায়ে হলুদ বা হলদি যাই বলুন না কেন, সেই অনুষ্ঠানে হলুদ লেহেঙ্গায় দ্যুতি ছড়িয়েছেন হবু কনে। সঙ্গে কনট্রাস্ট মেনে লাল ওড়না আর ফুলের সাজ। মিষ্টির হবু বরের পরনে ছিল হলুদ ধুতি, সবুজ পাঞ্জাবি আর হলুদ রঙা মোদী কোট।