গত ১৪ মে, হঠাৎই মাকে হারান 'মিঠাই'-এর ‘তোর্সা’ অর্থাৎ টেলিপর্দায় জনপ্রিয় অভিনেত্রী তন্বী লাহা রায়। তারপর থেকে মানসিকভাবে ভীষণই ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে কিছু দুঃখ বুকে চেপে রেখে সামলে উঠতেই হয়। তন্বীর ক্ষেত্রেও সেটাই হল। দুঃখ সামলে উঠে মায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান সহ কিছু রীতিনীতি পালন করলেন তন্বী লাহা রায়।
শনিবার একাহাতেই মায়ের ঘাটকাজ সারলেন তন্বী। গঙ্গাস্নান করে রীতি অনুযায়ী পিণ্ডদান করেন। সেই মুহূর্তগুলিই ক্যামেরাবন্দি করেছেন তন্বীর দিদি। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় পোস্ট করে আরও একবার মায়ের স্মৃতিচারণায় ডুব দিয়েছেন তন্বী। লিখেছেন, ‘আমাদের ছাড়া তুমি ভালো নেই জানি , তবুও ভালো থেকো মা, ওম শান্তি।’ পরে লিখেছেন, ‘ছবিগুলো মায়ের বোরো মেয়ের তোলা’।
গত মঙ্গলবার মৃত্যু হয় তন্বীর মায়ের। সেদিন মাকে হারিয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন তন্বী লাহা রায়। সেই বুক ফাটা যন্ত্রণার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়ে লেখেন, ‘মা ও মা… এই হাত দিয়েই তো আগলে রাখতে আমাদের। বেরোলে বারান্দায় দাঁড়িয়ে হাত নাড়তে যতক্ষণ পর্যন্ত আমার গাড়িটা দেখা যেত। সবাইকে নিজের হাতে ইউনিক জিনিস বানিয়ে দিতে। এই হাতেই বছরের পর বছর স্টেরয়েডস, স্যালাইন সব সহ্য করেছ। তুমি খুব কষ্ট পেয়েছ, কিন্তু আমাদের দেখাওনি। নিজের ভাইকে ছোট বয়সে চলে যেতে দেখেছ, মা-বাবাকে হারিয়েছ। এখন তাঁদের সঙ্গেই আছো নিশ্চয়ই? মা ও মা…’
তন্বী থামেননি, তিনি আরও লেখেন, ‘তুমি দেখেছ আমার প্রথম নিঃশ্বাস। আমি দেখলাম তোমার শেষ নিঃশ্বাস। …..নিঃশ্বাস তখনও চলছে, ভাবলাম এই তো আবার লড়াই করে ফিরছ বোধহয়। কিন্তু দেখলাম চোখের পাতা পড়ছে না তোমার। নিঃশ্বাস তখনও চলছে। ডাক্তার এসে বলল, আর কিছু সময়। এত কিছু করেও বাপি আর নিজেকে সামলাতে পারল না। হাসপাতালের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেল। আমি তোমার হাতটা শক্ত করে ধরেছিলাম। মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে মা মা করে ডাকছি। ১০ সেকেন্ডে একবার করে গলার শিরাটা উঠছে। মানে মা বেঁচে আছে। মা-এর বেডে আমার চোখের জল পড়তেই নিজেকে সামলে নিলাম। তারপর সেকেন্ড পেরিয়ে গেল, শিরাটা থেমে গেল। মা…’।
এদিকে তন্বীর মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে চুপ থাকতে পারেননি 'মিঠাই' সৌমিতৃষা। তিনি পরদিন পুরনো সহকর্মীকে ফোন করেন।