বাংলা টেলিভিশনের পয়লা নম্বর সিরিয়ালের তাজ গত কয়েক মাস ধরেই মাথায় উঠছে ‘মিঠাই’-এর। একথায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে ‘মিঠাই’। রাত আট-টা বাজলেই সিরিয়াল প্রেমী বাঙালি এখন বসে পড়ে টিভির পর্দায় মিঠাই-উচ্ছেবাবুর গল্প দেখতে। টিআরপির লড়াইয়ে মিঠাইয়ের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ফুলঝুরি ও লালন। একই স্লটে প্রতিদ্বন্দ্বী চ্যানেলের বাজি ‘ধুলোকণা’। এই সিরিয়াল শুরু হওয়ার পর থেকেই ‘মিঠাই’-এর সঙ্গে রেষারেষি নিয়ে নানা মহলে নানা মত। গত কয়েক সপ্তাহে টিআরপি তালিকায় চড়চড়িয়ে এগিয়ে এসেছে ‘ধুলোকণা’। গত সপ্তাহে সেরা পাঁচেও জায়গা করে নিয়েছে। কিন্তু তাতে এতটুকুও বিচলিত নয় ‘মিঠাইরানি’। বরং সিনিয়র দুই সহকর্মীকে ছোট করুক তাঁর ফ্যানেরা সেটা চান না অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুণ্ডু।
সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভীষণ অ্যাক্টিভ মিঠাই ওরফে সৌমিতৃষা। ইনস্টাগ্রাম থেকে ফেসবুক- ফ্যানেদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন সৌমিতৃষা। এবার অভিনেত্রী মিষ্টি করে বকে দিলেন তারই এক ফ্যান ক্লাবের সদস্যকে। ভাবছেন মিঠাই কেন চটে গেল ফ্যানের উপর? তবে বিষয়টা একটু খোলসা করে বলা যায়।
রাত ৮ টার স্লটে একদিকে জি বাংলায় পরিবেশিত হয় ‘মিঠাই’, অন্যদিকে স্টার জলসায় রাত ৮ টায় সম্প্রচারিত হয় ‘ধুলোকণা’। এক ফ্যান গ্রুপে লালন-ফুলঝুরি এবং সিদ্ধার্থ-মিঠাইয়ের ছবি পোস্ট করে আবেদন জানানো হয়েছিল ‘মিঠাই’ জুটির ছবিতে ‘লাভ' রি-অ্যাক্ট দিতে, অন্যদিকে ধুলোকণা জুটির ছবি ‘হাহা’ রি-অ্যাক্ট জুড়ে দিতে। কে বেশি ভোট পায় তা নির্দিষ্ট সময় পর জানানো হবে এমনটাই বলা হয়েছিল।
ব্যাস এতেই চটেছেন অভিনেত্রী সৌমিতৃষা। তিনি ফেসবুকে কমেন্ট করে জানিয়েই দিলেন- ‘একই স্লটের হলেও প্রত্যেকে কষ্ট করে কাজ করে, তাই ‘হাহা’ রিয়্যাক্ট দেওয়ার কোনও মানে হয় না, অন্ততপক্ষে সৌমিতৃষা ফ্যান ক্লাবের থেকে এমনটা আশা করা যায় না।'
‘মিঠাই'-এর এমন জবাবে অনেকেই মুগ্ধ ফ্যানেরা। সহকর্মীদের প্রতি কতখানি শ্রদ্ধা আর সম্মান আছে মিঠাই-এর তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিল এই মন্তব্য, যা দেখে গর্বিত মিঠাই-ভক্তরা।