এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘মিঠাই’। এই সিরিয়ালের প্রতিটি বিষয় খুঁটিয়ে দেখে ফ্যানেরা। বলা যায়, আতস কাঁচের নীচে রেখে চলে চুলচেরা বিশ্লেষণ। আপতত হাসপাতালে ভর্তি সবার প্রিয় মিঠাইরানি। ওমির গুলিতে আহত হয়ে মিঠাই এখন কোমায়। তাঁর জ্ঞান ফেরানোর প্রয়াস চালাচ্ছিল হল্লা পার্টি। অবশেষে ‘গোপাল হেলেপ’ করেছে উচ্ছেবাবুকে। গোপালকে নিয়ে সিদ্ধার্থ হাসাপাতালে গিয়ে ‘নয়নে নয়নে গান’ গেয়ে মিঠাইয়ের জ্ঞান ফিরিয়েছে। স্বভাবতই সক্কলে ভীষণ খুশি।
এর মাঝেই এক ভক্ত মিঠাইয়ের হাতের স্ক্রিনশট পোস্ট করে একটা প্রশ্ন রেখেছে বা বলাই যায় ‘মিঠাই’কে নিয়ে ঠাট্টা করেছে। এরপরই তুমুল শোরগোল। এক মিঠাই অনুরাগী হাসপাতালে ভর্তির সময় মিঠাইয়ের হাতের আঙুলের ছবি পোস্ট করেন। সেখানে মিঠাইয়ের হাতে দেখা গিয়েছে বড় বড় নখ আর তাতে লাগানো টুকটুকে লাল নেইলপলিশ।
ছোট ননদ আর পুলিশ দাদার রিশেপশনে জমিয়ে সাজবে মিঠাই-এটাই তো স্বাভাবিক। তাঁর হাতের নখ বেশ বড় এবং সুন্দর করে নেইল আর্ট করা ছিল। সৌমিতৃষা নিজেও এগুলো খুবই পছন্দ করে, আর নিপা দিদির বিয়ে উপলক্ষ্যে একটু স্পেশ্যালভাবেই সেজেছে।
তবে সাম্প্রতিক এপিসোডে দেখা গেল মিঠাই-এর হাতে নেইলপলিশ নেই, তবে জেল-পলিশ করা রয়েছে এবং ছোট ছোট করে কাটা নখ। এই নিয়ে এক ভক্তের প্রশ্ন, ‘হাসপাতালে আজকাল মেনিকিওরও করা হচ্ছে নাকি?’
সৌমিতৃষার ভক্তরা এর জবাব দিয়েছেন। পাশাপাশি ‘মিঠাই’ গ্রুপে এধরণের পোস্টে অবাক অনেকেই। অনেকেই এই পোস্টের বিরোধিতা করে লিখেছেন, হাসপাতালে ভর্তি হলে বড় নখ বা নেইলপলিশ রাখতে দেওয়া হয় না। নেইল পলিশ তুলে, নখ ছোট করে দেওয়া হয় না হলে চিকিৎকদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সমস্যা হয়।
কেউ আবার লিখেছেন, ‘এই গল্পের নায়িকা, তাঁর অসাধারণ অভিনয় ক্ষমত- সেটা দেখুন, পজিটিভ জায়গা গুলো মার্ক করুন। নেলপালিশ, লিপস্টিক হাল্কা টাচ-আপ না দিলে ক্যামেরাতে ডাল আসবে, একটু মেকাপ করতেই হয়, অন ক্যামেরায়,এগুলো নিয়ে মন্তব্য নাইবা করলেন’।