মিঠাই আর উচ্ছেবাবুর অভিনব রসায়নের ভর করেই টিআরপি তালিকায় চড়চড়িয়ে বাড়ছে ‘মিঠাই’-এর টিআরপি। মোদক বাড়ির তিতকুটে নাতির সঙ্গে মিষ্টি মেয়ে মিঠাইয়ের টক-ঝাল-মিষ্টি সম্পর্কই এই ধারাবাহিকের সবচেয়ে ইউএসপি তা অস্বীকার করবার জায়গা নেই। ডিভোর্সের প্রসঙ্গে উঠবার পর থেকেই আচমকা সিদ্ধার্থ মোদকের জীবনে মিঠাই-এর গুরুত্ব বেড়ে গেছে। অন্যদিকে মিঠাইয়ের মন জুড়ে তো শুরু থেকেই তাঁর উচ্ছেবাবু। ‘থোরা থোরা প্যায়ার হুয়া তুমসে’, একথাটা শুধু ঠোঁটে আনা বাকি। ঝগড়া যতই সঙ্গে থাক… দুজনের মন যে বেশ কাছাকাছি চলে এসেছে তা বুঝতে বাকি নেই কারুর।
সিরিয়ালের সাম্প্রতিকতম এপিসোডে ধরা পড়ল কেমনভাবে মিঠাইয়ের চোটে মলম লাগিয়ে দিচ্ছে সিদ্ধার্থ। ওষুধ লাগালে জ্বালা করবে সেই ভয়ে লুকিয়ে পড়েছিল মিঠাই, কিন্তু স্ত্রীকে টেনে বার করে কড়া ভাষায় সিদ্ধার্থ জানায়- 'সাইকেল থেকে হামেশা উলটে পড়ে যাও সে বেলায় তোমার ব্যাথা লাগে না। হাত-পা কেটে ছড়ে যায় তাতে কিছু নয়, যত জ্বালা তোমার ওষুধ লাগানোর সময়, তাই না!' এই নিয়ে শুরু কথা কাটাকাটি। 'তুমি আর যাই হোক ডাক্তার নয়', উচ্চেবাবুর মুখে এমন কথা শুনে মিঠাইও বলে দেয়- 'দাদুর নাতিও তো ডাক্তার নয়, তাও সবার উপর ডাক্তারি ফলায়'। কিন্তু তবুও নাছোড়বান্দা সিদ্ধার্থ মোদক। তুফান মেল মিঠাইও শেষমেষ হার মানে। মিঠাইয়ের প্রতি সিদ্ধার্থের এই টান থেকে হতবাক খোদ মিঠাই। মুগ্ধ দৃষ্টিতে সে তাকিয়ে থাকে উচ্ছেবাবুর দিকে।
এটা কি শুধু মিঠাইয়ের উপকারের প্রতিদান, নাকি সত্যিই মিঠাইকে নিয়ে ভাবে সিদ্ধার্থ? গোপালের কাছে এই প্রশ্ন মনে মনে রাখে মিঠাই। জানায়, নিজেকে সে আর সামলাতে পারছে না। অন্যদিকে সদ্যই ২০০ পর্ব সম্পূর্ণ করল মিঠাই। শুক্রবার দিনভর মিঠাইয়ের সেটে চলল সেলিব্রেশন পর্ব। এই মাইলস্টোন ছুঁয়ে অনুরাগীদের ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি সৌমিতৃষানস্টালজিক অভিনেত্রী লেখেন, 'আমার আজও মনে আছে প্রথম দিন আমাদের সেই প্রোমো শ্যুটের কতা… সেই আউটডোর… যত দিন গড়িয়েছে আমাদের গোটা টিমের বন্ডিং আরও মজবুত হয়েছে। আমি আরও একটা পরিবার পেয়েছি। সকলে আমায় খুব ভালোবাসে,আমার কাজের প্রশংসা করে। আমার পাশে দাঁড়ায়, যাই হোক না কেন, আমার মিঠাইয়ের পরিবারকে অনেক ভালোবাসা! আর অবশ্যই আমার প্রিয় দর্শকদের, এই ভালোবাসা, আর্শীবাদের জন্য ধন্যবাদ।।