জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক ছিল মিঠাই। যা চলেছিল প্রায় আড়াই বছর। শুধু তাই নয়, টানা ৩৪ সপ্তাহ ধরে ছিল বেঙ্গল টপার। তবে শেষের দিকে, এই মেগা জড়ায় বড় বিতর্কে। যখন সামনে আসে ধারাবাহিকের নায়ক আদৃত রায় ও নায়িকা সৌমিতৃষা কুণ্ডুর মধ্যেকার ঝামেলা। তারপর আরও ব্যাপারটা চর্চায় আসে, যখন আদৃতের বিয়েতে গোটা মিঠাই পরিবার থাকলেও, আসেননি সৌমিতৃষা।
মিঠাই চলাকালীন রটেছিল, সৌমিতৃষা নাকি পছন্দ করতেন আদৃতকে। এদিকে আদৃত ধারাবাহিকেরই কোস্টার কৌশাম্বিকে মন দিয়ে বসেন। একসময় কৌশাম্বি আর সৌমিতৃষার ভালো বন্ধুত্ব থাকলেও, শেষের দিকে দেখা যায়, একে-অপরকে ইনস্টাগ্রামে আনফলো করে দিয়েছেন। আদৃত যদিও তখনও প্রোফাইল খোলেননি ইনস্টাগ্রামে। সে যাই হোক, প্রেম বা ভালোবাসা নিয়ে সব গুঞ্জন সরিয়ে রাখলেও, দুজনের মধ্যে যে খুব একটা ভালো বন্ধুত্ব নেই, তা ধরতে বেশিদিন লাগেনি নেটিজেনদের।
আরও পড়ুন: বাবা-ছেলেকে কাছাকাছি আনেন অর্পিতাই, ‘মাই নেম ইজ জান’ দেখলেন বিশ্বজিৎ, করলেন বউমার প্রশংসাও
এবার আদৃতের বিয়েতে না আসা নিয়ে মুখ খুললে মিঠাইয়ের ‘ঠাম্মি’। অভিনেত্রী স্বাগতা বসুকে এক পডকাস্টে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ওকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম তুই কি যাচ্ছিস বিয়েতে? ও বলেছিল, না গো আমি ওই সময় নর্থ বেঙ্গল থাকব।’
যদিও পরে এক সাক্ষাৎকারে সৌমিতৃষা জানয়েছিলেন, তাঁর কাছে আদৃতের বিয়ের নিমন্ত্রণই এসে পৌঁছয়নি। যা নয়ে স্বাগতা বললেন, ‘আদৃত ওকে নিমন্ত্রণ করেছে কি না, সেটা আমাদের জানার বিষয় নয়। সৌমিতৃষা কেন গেল না, সেটাও আমার জানার বিষয় নয়। আমি পার্সোনালি ওকে ফোন করেছিলাম। দেখো আমরা তো আদৃতকে নিমন্ত্রণ পাওয়ার সময় জিজ্ঞাসা করতে পারি না, তুই কাকে কাকে ডাকছিস। যারা ফোন করেছিল, তাদের নিয়ে উপহার দেওয়ার জন্য আমরা একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলি। তাতে সৌমিতৃষাও ছিল। ও এক-দুজনকে অ্যাডও করেছিল। তারপর কী হয়েছে জানি না। ও কিছু আমাদেরকে বলেনি, আমরাও ওকে আর কিছু বলিনি।’
আরও পড়ুন: কুণাল ঘোষের ‘গানের গুঁতো’! গাইলেন মায়ের পায়ের জবা হয়ে… দেখুন ফিরহাদের অভিব্যক্তি
সৌমিতৃষাকে বিয়েতে ডাকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, তা এড়িয়েই গিয়েছেন আদৃত। যদিও দর্শকদের প্রিয় মিঠাইরানি বেশ গুছিয়েই জবাব দিয়েছিলেন। আনন্দবাজারকে বলেছিলেন, ‘ওরা হয়ত নিমন্ত্রণ করতে ভুলে গেছে। হতেই পারে। সবাই নিজেদের জীবনে এগিয়ে গিয়েছে। সবাই ব্যস্ত।’