অনেকেই দাবি করে, দুই অভিনেত্রী নাকি ভালো বন্ধু হতে পারে না! তবে একথা বারবার মিথ্যে প্রমাণ করেছেন বাংলার ছোট পর্দার অভিনেত্রীরা। তাঁদের গলায় গলায় ভাব চোখে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে। তবে কখনও কখনও সেই বন্ধু থেকে শত্রু হওয়ার নজিরও রয়েছে।
বছরখানেক আগেই জি বাংলার মিঠাই সিরিয়ালের অভিনেত্রী তন্বী সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, সামাজিক মাধ্যম থেকে আনফলো করে দিয়েছেন সৌমিতৃষা। যদিও নাম নেননি, তবে এমন ইঙ্গিতে লেখেন, যাতে বুঝতে সমস্যা হয় না। সেই পোস্টটিতে লিখেছিলেন, ‘যখন প্রয়োোজন ছিল ফলো করে রেখেছিলেন। এখন অনেক দূর পৌঁছে যাওয়ায় আনফলো করে দেওয়া…’। এরপর সৌমিতৃষাকে সাফ বলতে শোনা যায়, তিনি অনেককেই আনফলো করে দিয়েছেন। এর সঙ্গে ব্যক্তিগত খারাপ বা ভালোলাগার কোনও সম্পর্কই নেই। আরও কয়েকজন মিঠাই সহকর্মীকে আনফলো করার কথাও স্বীকার করে নেন।
আরও পড়ুন: হার্দিকের সঙ্গে ডিভোর্সের খবর, ছেলেকে নিয়ে দেশ ছাড়লেন নাতাশা, আর ফিরবেন তো?
যদিও এই ঝামেলা অতীত, কারণ তন্বী মাসখানেক আগে হারান মা-কে। আর মাতৃহারা বান্ধবীর পাশে দাঁড়ান সৌমিতৃষা। নিজে থেকে ফোন করেন মিঠাই-কোস্টারের। এমনকী, সামাজিক মাধ্যমে তন্বীর পোস্টে এরপর কমেন্ট করতেও দেখা যায় তাঁকে। যা থেকে ধারণা হয়, সব বিবাদ বা মান-অভিমান, যাই থাকুক না কেন দুজনের মধ্যে, তা মিটে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: তৈমুরের ন্যানির সঙ্গের এই গোলুমলু খুদেটি কে? আম্বানিদের ছেলে, আকাশ না অনন্ত
তবে এসবের মাঝেই তন্বীর একটি ইনস্টাগ্রাম স্টোরি নতুন করে নজর কাড়ল সকলের। যেখানে লেখা, ‘অন্যের ভালো দেখতে পারাটাও একটা পারিবারিক শিক্ষা’। ঠিক কী প্রসঙ্গে, এমনটা বলেছেন তিনি তা স্পষ্ট নয় একেবারেই। মাকে হারানোর পর, বেশ কয়েকদিন সামাজিক মাধ্যম থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন নিজেকে। তবে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে জীবন। তাই নিয়েই কি এসেছিল কোনও কটাক্ষ, যার জবাব এভাবেই দিলেন তিনি!
আরও পড়ুন: অনুষ্কার জন্মদিন বলে কথা! বেঙ্গালুরুর এক বেকারের কাছে এই বিশেষ অনুরোধ করেন বিরাট
কাজের সূত্রে তন্বীকে শেষ দেখা গিয়েছে আলাপ সিনেমায়। সেখানে মিমির বান্ধবীর চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। তবে, মিঠাই শেষ হওয়ার পর ছোট পর্দায় আর কোনও নতুন প্রোজেক্টে দেখা যায়নি তন্বীকে। পছন্দের অভিনেত্রীর ধামাকেদার কামব্যাকের অপেক্ষায় তাঁর অনুরাগীরা।