এমনিতে এই মিষ্টি নায়কের উপর ক্রাশ খান হাজারো নারী। তবে আচমকাই উচ্ছেবাবুর উপর ক্ষুব্ধ মিঠাই ভক্তদের একাংশ। কারণ? সিদ্ধার্থের বিরুদ্ধে কড়া অভিযোগ সিরিয়ালের একদল মহিলা অনুরাগীর। মিঠাইয়ের উপর সিদ্ধার্থের অকারণ হম্বিতম্বি মোটেই ভালো লাগে না সর্বদা। কারণে-অকারণে মিঠাইরানির উপর চিৎকার করে সিদ্ধার্থ। সেই নিয়েই আপত্তি তাঁদের। সিরিয়ালের সাম্প্রতিক এপিসোডে দেখা গিয়েছে ছোটজা পিঙ্কির সঙ্গে রান্নাঘরে একটু আনন্দ করছিল, আর ওমনি অফিস থেকে ফিরে সিদ্ধার্থ পিঙ্কির সামনেই বউয়ের উপর চিৎকার করে দিল! এই দেখেই চটেছে ভক্তরা। তাঁদের কথায় এর মাধ্যমে সিদ্ধার্থ নিজের পৌরষত্ব জাহির করেছে মাত্র। সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে মিঠাই। ঘরে বাইরে সমান হাতে সামলাচ্ছে সবদিক, তার পরেও সিদ্ধার্থের এই আচরণ মোটেই মেনে নেওয়া যায় না, দাবি তাঁদের।
বউ কোনওদিন স্বামীর ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয় যে চাইলেই তার সঙ্গে যেমন ইচ্ছা ব্যবহার করা যায়, এটা নির্মাতাদের খেয়াল রাখা উচিত বলছেন মিঠাই-এর মহিলা ভক্তরা। একজন লিখেছেন, ‘সবকিছুকে বকুনি বলা চলে না। এক তরফা না শুনে চিলচিৎকার করা এটাকে ভদ্রতা বলে না। তবে সিদ্ধার্থ নিজের ভুলটা এইবার বুঝতে পেরেছে এটাই পজিটিভ ব্যাপার’। নিন্দুকরা তো একধাপ এগিয়ে বলছেন, ‘এই সিরিয়াল কী বার্তা দিচ্ছে? স্বামী মানেই স্ত্রীর উপরে বিনা কারণে চোটপাট করার অধিকার জন্মায়? সেই সিরিয়াল নাকি আবার বাংলা সেরা!’
তবে অনেকেই সিডি বয়ের পাশে দাঁড়িয়ে লিখেছে, ‘সিড মিঠাইকে বকলো বলে কেউ কি সিডের উপর একটু একটু রাগ করেছেন? ধুর! একদম রাগ করবেন না। একটু বুঝুন, সিডকে অফিস সামলাতে হয়। ওর তো মাথা গরম হতেই পারে। আর বউরা তো সম্পত্তি, রাগ হলে তার ওপর ছাড়া আর কার ওপর ঝাড়বে?’
এই মামলাতে কিন্তু বৌদিমণি (টেস বুড়ি) সিদ্ধার্থকে আঙুল দিয়ে সত্যিটা দেখিয়ে দিয়েছে। তোর্সার সাফ কথা, ‘তুই মিঠাই কে সবার সামনে বকাঝকা করবি তার বেলায় ঠিক আছে আর বাকি কেউ ওকে কিছু বললেই তোর গায়ে ফোসকা পড়ে কেন?’ মিঠাইয়েরও সম্মান আছে এটা সিদ্ধার্থকে বুঝতে হবে, বলছে নেটপাড়া।