কারুর কোনও বারণ কাজে এল না। সিদ্ধার্থ-মিঠাইয়ের চারহাত এক হল অবশেষে। আর এবার দাদুর জন্য নয়, নিজে মন থেকে মিঠাইকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে প্রস্তুত উচ্ছেবাবু। গোটা ঘটনায় হতবাক তোর্সা (তন্বী লাহা রায়)। বিয়ে নামক সামাজিক প্রতিষ্ঠানকে না মানবার জেরে একদিন তোর্সাকে ফিরিয়ে দিয়েছিল সিদ্ধার্থ, অথচ আজ মিঠাইকে স্ত্রী হিসাবে গ্রহণ করছে সে। চোখের সামনে এই ঘটনা মেনে নিতে পারছে না টেস। আর টেসের কান্না দেখে বিচলিত সোম! তোর্সার জন্য সোমের এই ভাবনা দেখে মোদক পরিবারের সদস্যরাও কিছুটা চিন্তিত।
বাড়ির জামাই তো সরাসরি সোমকে প্রশ্নই করে বসে, তোর্সার জন্য তাঁর এতো ভাবনা কীসের? সেই উত্তর এড়িয়ে গেলেও এই বিষয়টা কিন্তু একদম নজর এড়াচ্ছে না মিঠাই ভক্তদের। বরং টেস বুড়ির আদর্শ পাত্র সোম (ধ্রুব সরকার), সে কথা অস্বীকার করবার জায়গা নেই। অনেকেরই ধারণা এবার বোধহয় সোম আর তোর্সার মধ্যে প্রেম সম্পর্ক গড়ে উঠবে।
তবে এমনও হতে পারে, সিদ্ধার্থ-মিঠাইয়ের থেকে প্রতিশোধ নিতে মোদক বাড়ির বড় বউ হয়ে আসবে তোর্সা। তখন সম্পর্কের সমীকরণগুলো কীভাবে পালটে যাবে, সেটা দেখবার।
মিঠাই-সিদ্ধার্থের বিয়েতে নীল পাড় সাদা শাড়িতে তোর্সাকে দেখে অবাক সিদ্ধার্থ। সিদ্ধার্থ-মিঠাইয়ের বিয়ের জয়মালার থালাও এদিন ধরল টেস। যদিও এদিন নন্দা আগেভাগেই ভাইকে সচেতনবাণী শুনিয়ে রেখেছে ‘টেস বুড়ির দিকে তাকালে না কান টেনে ছিঁড়ে দেব’।
শুক্রবারের এপিসোডে এই বহুপ্রতীক্ষিত বিয়েতে ব্যাগড়া দিতে পৌঁছোয় সমরেশ। সিদ্ধার্থ সাফ জানিয়ে দেয়. ‘আপনি না কোথাউ গিয়ে একটু বিশ্রাম নিন স্যার। কারণ বিয়েটা আমি মেনে নিয়েছি’। মোদক বাড়িতে নতুন করে নাতবউ হিসাবে আগমন হবে মিঠাইরানির। দাদুর নাতির সঙ্গে তুফান মেলের এই দাম্পত্য কতখানি রসালো হবে, সেটাই এখন দেখবার।