মিঠাইয়ের খুনিকে তৎপর সিদ্ধার্থ। সে এখন যেভাবেই হোক মিঠাইয়ের খুনির হদিস পেতে চায়। কে মিঠাইকে গুলি করেছিল, কেন করেছিল এসব জানা এখন তাঁর কাছে ভীষণই জরুরি। আর সেই লক্ষ্যে সে অনেকটা এগিয়েও গিয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেই প্রধান সাক্ষী সদানন্দের উপর আক্রমণ হয়। শুধু আক্রমণ নয়, সে কোমায় চলে যায়। এবার? তবে কি তীরে এসে তরী ডুবল? মিঠাইয়ের উচ্ছেবাবু কি কখনও তাঁর খুনির পরিচয় জানতে পারবে? প্রশ্ন থাকছেই।
সম্প্রতি জি বাংলার তরফে 'মিঠাই'য়ের একটি নতুন প্রোমো ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। এই সাড়ে তিন মিনিটের ভিডিয়োতে দেখা যায় হাসপাতালে মিঠি, সিদ্ধার্থ এবং আরও দুই পুলিশ অফিসার চিন্তিত অবস্থায় দাঁড়িয়ে। কারণ তাদের প্রধান সাক্ষী গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। আর তার জবানবন্দি না পেলে আসল খুনির সন্ধান মিলবে না। জি বাংলার তরফে এই প্রোমো ভিডিয়ো পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয় 'মিঠাইয়ের খুনি কে, জানতে পারবে কি সিদ্ধার্থ?' এই পোস্টে একাধিক হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে, সেখানে লেখা হয়েছে মিঠাইয়ের খুনি কে জানতে পারবে কি সিদ্ধার্থ, মিঠাই, ইত্যাদি।
এই ভিডিয়োতে দেখা যায় মিঠি এবং সিদ্ধান্ত যখন উদ্বিগ্ন মুখে দাঁড়িয়ে, আলোচনা করছে বিষয়টা নিয়ে তখন চিকিৎসক এসে জানান যে সদানন্দ, অর্থাৎ প্রধান সাক্ষী কোমায় চলে গিয়েছে। সে জানিয়েছিল যে কারও নির্দেশে মিঠাইয়ের উপর গুলি চালিয়েছিল। কিন্তু কে সে? সেটা এখনও জানা হয়নি। তাই সিদ্ধার্থ চিকিৎসককে জোরাজুরি করতে থাকে সদানন্দকে দ্রুত সুস্থ করে দেওয়ার জন্য, এবং বারংবার প্রশ্ন করে যে সে কবে সদানন্দের জবানবন্দি পাবে? চিকিৎসক স্পষ্ট করেই জানান সেটা কবে পাওয়া যাবে এখনই বলা যাবে না। কারণ তিনি কোমায় আছেন।
মিঠিকে সিদ্ধার্থ রাগের মাথায় যথেষ্ট অপমান করেন। কিন্তু মিঠি তাতে রাগ করে না, উল্টে সিদ্ধার্থের পাশে থাকার কথা ভাবে। সে তার মায়ের উদ্দেশে কিছু বলে। যার থেকে আরও একটি রহস্য তৈরি হতে দেখা যাচ্ছে। একদিকে যখন মিঠাইয়ের খুনি জানার চেষ্টা চলছে তখনই এক ক্ষীণ রহস্য তৈরি হচ্ছে তবে কি মিঠি আর মিঠাইয়ের কোনও বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে? তাই সে বারবার মায়ের কথা বলছে?
এই ভিডিয়োতে বহু দর্শক তাঁদের মতামত জানিয়েছেন। এক ব্যক্তি লেখেন, ' পারবে পারবে, মিঠির সাহায্যে পারবে।' আরেক দর্শক লেখেন, ' দোয়া করে মিঠাইকে ফিরিয়ে দিন জি বাংলা।'