দুষ্টের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রেখেছে মিঠাই-সিদ্ধার্থ। চুপিচুপি 'মনোহরা'য় গিয়ে তদন্ত করে এসেছে তারা। কিন্তু ফিরতে রাত হওয়ায় বাড়ির দরজাই খুলল না বাড়িওয়ালা। অগত্যা বাধ্য হয়ে তার বাড়িতে ঢিল ছুড়ল সিড। তার পর? দাদুর কাছে বকুনি খাওয়ার পালা।
তবে দমে যায়নি সিদ্ধার্থ। জানিয়ে দিল, সে যা করেছে, ঠিক করেছে। ব্যাস, ফের 'তারকাটা তারক'-এর সঙ্গে ঝগড়া শুরু! অবশেষে মুশকিল আসান করে মিঠাই। তার উদ্যোগেই দু'জনের ঝগড়া থামে শেষমেশ।
তদন্তের কারণে মোদক পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। নিয়ে নেওয়া হয়েছে গয়নাও। আয় পুরোপুরি বন্ধ। সংসার খরচে টান পড়ছে। এমন অবস্থায় পরিবারের হাল ধরেছে মিঠাই-সিদ্ধার্থ। অনলাইনে মিষ্টি বিক্রি করছে তারা। স্কুটি করে সেই মিষ্টি পৌঁছে দিচ্ছে ক্রেতাদের কাছে।
পরিস্থিতি বদলেছে। রাস্তায় ঘুরে আগে কখনও কাজ করেনি সিদ্ধার্থ। খিদে পেলে খাওয়ার উপায় কোথায়! নামী রেস্তরাঁয় খাওয়ার সামর্থ্য আপাতত নেই। অগত্যা মুশকিল আসান করল মিঠাই। রাস্তার ধারের এক চেনা হোটেলে গিয়ে সিডের জন্য রান্না করে সে। খোলা আকাশের নীচে বেঞ্চে বসে সেই দুপুরের খাওয়া সারে তারা।
(আরও পড়ুন: লুকিয়ে 'মনোহরা'য় ঢুকে এ কী দেখল মিঠাই! ধারাবাহিকের নয়া পর্ব চমকে দিতে পারে)
অন্য দিকে, প্রমীলা সাহার শাগরেদ গোজুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সত্যিটা বার করবে রুদ্র। কিন্তু সর্ষের মধ্যেও ভূত! পুলিশদেরই একজন তদন্তের সব খবর প্রমীলার কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।
(আরও পড়ুন: পথে ঘুরে ফের মিষ্টি বিক্রি করবে মিঠাই! আর কী ঘটতে চলেছে ধারাবাহিকে?)
তবে কি এ বার প্রমীলার ষড়যন্ত্র সামনে আসবে? ফাঁস হবে আদিত্যর আসল চেহারা? জানা যাবে কার নির্দেশে সোনা লুকিয়ে রাখা হয়েছিল 'মনোহরা'য়? এখন সেটাই দেখার।