'মনোহরা'য় জীবন-মৃত্যুর দড়ি টানাটানি। যে কোনও সময়ে ওমির লুকিয়ে রাখা বিস্ফোরক ফেটে যেতে পারে। ধুলোয় মিশে যেতে পারে সিদ্ধার্থদের সাধের বাড়ি। মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত মোদক পরিবারের সকলেই।
পুলিশ নিজের কাজ করছে। খোঁজা হচ্ছে লুকিয়ে রাখা বিস্ফোরক। ওমির কম্পিউটারের আইপি অ্যাড্রেসের মাধ্যমে তার অবস্থান বোঝার চেষ্টা করছে রাতুল। সকলের তৎপরতা দেখে চাপে ওমি। শেষমেশ পরিকল্পনা সফল হবে তো? মনে প্রশ্ন জাগছে তার। তবু সে হার মানবে না। মেগাফোনের মাধ্যমে বাড়ির ভিতরের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। তাদের নির্দেশ মতো বিস্ফোরক খুঁজতে শুরু করে সিদ্ধার্থরা। কিন্তু কিছুই খুঁজেই পাওয়া গেল না!
সকলের চেষ্টা ব্যর্থ হতে দেখে খুশি ওমি। বোমা ফাটার সময়ও এগিয়ে আসছে। তাকে আটকায় সাধ্য কার! এমনই সময় মোক্ষম চাল চলে রুদ্র। বাপের বাড়ি থেকে ফিরিয়ে আনে পিঙ্কিকে। স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের জন্য উতলা পিঙ্কিও এক ছুটে 'মনোহরা'র সামনে। পুলিশের দেওয়া মেগাফোনের সাহায্যে সন্দীপের সঙ্গে কথা বলে সে। বোনকে সেখানে দেখে ঘাবড়ে যায় ওমি! তাকে চলে যাওয়ার অনুরোধও করে বারবার। কিন্তু দাদার কোনও কথাকেই গুরুত্ব না দিয়ে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকে সে।
(আরও পড়ুন: ওমির হাত থেকে কী ভাবে রক্ষা পাবে 'মনোহরা'? জেনে নিন 'মিঠাই'-এ কী ঘটবে)
জীবনের শেষ দু'মিনিট মোদক পরিবারের সদস্যদের ইচ্ছা মতো কাটানোর সুযোগ দেয় ওমি। কারণ তার পরেই বিস্ফোরক ফেটে শেষ হয়ে যাবে সব কিছু। তখনই অদ্ভুত এক আবদার করে বসে নীপা। শেষ মুহূর্তে প্রেমের ছবি দেখতে চায় সে। কিন্তু টিভি চালানোর চেষ্টা করলেও তা চলে না। শেষমেশ দেখা যায়, টেলিভিশন সেটে টাইম বোমা আটকে রেখেছে ওমি। বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের নির্দেশ মেনে সেটিকে নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করে সিদ্ধার্থ। অন্য দিকে, ওমির কম্পিউটারের আইপি অ্যাড্রেসের সাহায্যে তাকে খুঁজে বার করে রাতুল। অপরাধীকে গ্রেফতার করতে সেখানে পৌঁছয় পুলিশ।
(আরও পড়ুন: মৃত্যুকে সঙ্গী করে 'মনোহরা'য় রাখি বন্ধন! ওমির হাতেই শেষ সিদ্ধার্থ-মিঠাই?)
অবশেষে কি তবে বিপদের মেঘ কাটবে? শেষ হবে ওমির সঙ্গে মোদক পরিবারের লড়াই? এখন সেটাই দেখার।