আকাশ ভেঙে পড়েছে মোদক পরিবারের মাথায়। ওমি আগরওয়ালকে খুনের দায়ে গ্রেফতার সিদ্ধার্থ। আপাতত পুলিশি হেফাজতে দিন কাটবে তাঁর।
সিদ্ধার্থ কোনও ভুল করতে পারে না, দৃঢ় বিশ্বাস মিঠাইয়ের। স্বামীকে গ্রেফতার হতে দেখে ভেঙে পড়ে সে। কী করবে, কী ভাবে স্বামীকে বাঁচাবে— কিছুই বুঝে উঠতে পারে না। তার চোখের সামনে দিয়েই সিদ্ধার্থকে নিয়ে যায় পুলিশ।
কিন্তু কী ভাবে ফেঁসে গেল সিদ্ধার্থ? কেনই বা ওমির মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হচ্ছে তাকে?
পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যায় ওমি। তাঁকে খুঁজতে বেরোয় সিদ্ধার্থ। খুঁজেও পায়। মাঝরাস্তায় শুরু হয় দু'জনের হাতাহাতি, মারপিট। আর তখনই আচমকা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় ওমি। সিদ্ধার্থের হাতে ওমির বন্দুক ছিল ঠিকই। কিন্তু কী ভাবে গুলি চলল, কে-ই বা গুলি চালাল, তা স্পষ্ট নয়। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সিদ্ধার্থই গুলি করেছে ওমিকে।
(আরও পড়ুন: ওমির খুনের দায়ে গ্রেফতার সিদ্ধার্থ! কী ভাবে তাকে নির্দোষ প্রমাণ করবে মিঠাই)
'মনোহরা'র উপর দিয়ে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। এত বিপদের মাঝেও মোদক পরিবারের পাশে থাকতে পারেনি রুদ্র। অবশেষে সে ফিরে এসেছে। সিদ্ধার্থকে নির্দোষ প্রমাণ করতে কোনও ত্রুটি রাখছে না তার বন্ধু।
সিদ্ধার্থকে দেখতে থানায় ছুটে যায় মিঠাই। উচ্ছেবাবু কী খাবে, কী ভাবে ভালো থাকবে? চিন্তায় ঘুম উড়েছে তার। সিদ্ধার্থ যদিও ভেঙে পড়েনি। স্ত্রীকেও মনে সাহস রাখার উপদেশ দিচ্ছে সে। আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে মোদক পরিবার। সিদ্ধার্থকে বাঁচানোর সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।
(আরও পড়ুন: অবশেষে খুঁজে পাওয়া গেল লুকিয়ে রাখা বিস্ফোরক! কিন্তু শেষ রক্ষা হল কি? জেনে নিন)
আতঙ্ক কাটিয়ে এখনও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারেনি 'মনোহরা'র সদস্যরা। একটি সমস্যা শেষ না হতেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠল নতুন বিপদ। সিদ্ধার্থকে কি আদৌ নির্দোষ প্রমাণ করা যাবে? কী হবে তার ভবিষ্যৎ? এখন সেটাই দেখার।