সাময়িক ভাবে বিপদ কেটেছে। 'মনোহরা'য় আপাতত খুশির হওয়া। জন্মাষ্টমী পালন করা হচ্ছে। গোপালকে দোলনায় দোলায় মিঠাই-সিদ্ধার্থ।
এর পরেই যা হয়, তা দেখে হেসে লুটোপুটি মোদক পরিবারের সদস্যরা। গোপালকে ইংরেজিতে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায় সিড। তাঁর উদ্দেশে বলে, 'এনজয় ইওরসেলফ'। বরের কাণ্ড দেখে হাসি চাপতে পারেনি মিঠাইও।
ওমি আগরওয়ালকে খুনের দায়ে গ্রেফতার সিদ্ধার্থকে আদালতে তোলা হয়েছিল। জামিন পাওয়া প্রায় অসম্ভব উঠেছিল। তবু হাল ছাড়েনি মিঠাই। গোপালকে নিয়ে সে শুনানিতে হাজির হয়েছিল সে। মিঠাই জানত, তার গোপালই বাড়ি ফিরিয়ে আনবে উচ্ছেবাবুকে। তার বিশ্বাসেই ঘরের ছেলে ঘরে ফিরল।
সিদ্ধার্থকে বরণ করে ঘরে তোলে অনুরাধা। মায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে সিদ্ধার্থ। ছেলেকে দেখে আবেগঘন সে।
(আরও পড়ুন: 'মিঠাই'-এর নতুন পর্বে বড় চমক! কী ঘটতে চলেছেন জেনে নিন)
জীবন-মৃত্যুর লড়াই, আইনি জটিলতা কাটিয়ে আপাতত নিশ্চিন্ত মোদক পরিবার। জন্মাষ্টমীতে 'মনোহরা'য় নাচগান, হইচই। ফের পুরনো ছন্দে সকলে। গোপালের কাছে ননী মাখনের হাঁড়ি ভাঙা হবে। কিন্তু তার আগে সেই হাঁড়ি খুঁজে বার করতে হবে। প্রতিযোগিতায় নামবে মোদক পরিবারের চার জুটি। সিদ্ধার্থ-মিঠাই, রাজীব-নন্দা, রাতুল-শ্রীতমা এবং রুদ্র-নীপা।
(আরও পড়ুন: জামিন পেয়ে বাড়ি ফিরবে সিদ্ধার্থ? জেনে নিন কী ঘটবে 'মিঠাই'-এর নতুন পর্বে)
বাকিরা মনেপ্রাণে ননীর হাঁড়ি খুঁজলেও প্রতিযোগিতায় মন নেই নীপার। স্বামীর সঙ্গে তার মান-অভিমানের পালা এখনও জারি। অবশেষে স্ত্রীর মান ভাঙালো রুদ্র।
অন্য দিকে, ননীর হাঁড়ি খুঁজে চলেছে সিদ্ধার্থ-মিঠাই। কিন্তু কিছুই যে পাওয়া যাচ্ছে না। এ সবেরই মাঝে চলছে খুনসুটি, হাসাহাসি। দাদা-বৌদিকে খুশি দেখে নিশ্চিন্ত শ্রীতমা।
আপাতত দুশ্চিন্তার মেঘ কেটেছে। খুশির রোদ 'মনোহরা'র আকাশে। কিন্তু এই আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী হবে তো? এখন সেটাই দেখার।