দেখতে দেখতে এক বছর পার। মিঠাই-সিদ্ধার্থের বিবাহবার্ষিকী। খুশির মরশুম 'মনোহরা'য়। কিন্তু যাদের নিয়ে এত মাতামাতি, তাদেরই কোন হুঁশ নেই!
সত্যিই কি তাই? নাকি পুরোটাই অভিনয়?
জীবনের বিশেষ দিনের কথা সিদ্ধার্থর খুব ভালোই মনে আছে। কিন্তু মিঠাইকে তা বুঝতে দেওয়া চলবে না। স্ত্রীকে চমকে দেওয়ার পরিকল্পনা তার। কিন্তু মিঠাই কি আর এত কিছু জানে! সে ভাবছে, তার উচ্ছেবাবু বেমালুম তাদের বিয়ের দিন ভুলে গিয়েছে। নিজেও তাই এ নিয়ে একটি কথাও বলছে না।
বিবাহবার্ষিকীর দিন সিদ্ধার্থর জন্য পুজো দেয় মিঠাই। কায়দা করে স্বামীকে ঠিক প্রণামও করে নেয়। কিন্তু তখনও স্ত্রীকে কিছু বুঝতে দেয়নি সিদ্ধার্থ। বিশেষ দিন দু'জনে গোপালের জন্য গানও গায়। এ ভাবেই শুরু হয় তাদের দিন।
(আরও পড়ুন: মিঠাই-সিদ্ধার্থর বিবাহবার্ষিকী! খুশির দিনে কোন মোড় নিতে চলেছে ধারাবাহিকের গল্প)
এর পর? ময়দানে নামে হল্লা পার্টি। মিঠাই-সিদ্ধার্থর বিশেষ দিনটি উদযাপনের যাবতীয় পরিকল্পনা সেরে ফেলে তারা। শুরু হয়ে যায় আয়োজন। কিন্তু সত্যিই কি সিডের কিছু মনে নেই? সেই প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে মোদক পরিবার। দাদার মনের কথা জানতে মাইন্ড গেম শুরু করে নীপা। তাতে যদিও বিশেষ লাভ হয় না।
(আরও পড়ুন: ওমির মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে ফিরল আদিত্য! কী ভাবে বিপদ কাটিয়ে উঠবে মিঠাই? জেনে নিন)
এর পরেই মোক্ষম চালটা চলে সিদ্ধার্থ। সকলকেই কায়দা করে বাড়ির বাইরে পাঠিয়ে দেয় সে। বাদ পড়ে না মিঠাইও।
দিনের শেষে বাড়ি ফেরে মিঠাই। তত ক্ষণে আঁধারে ঢেকেছে 'মনোহরা'। চারদিকে অন্ধকার দেখে ঘাবড়ে যায় সে। আর তখনই তাকে চমকে দেয় সিদ্ধার্থ। জানায়, বিবাহবার্ষিকী উদযাপনের জন্যই এই আয়োজন। উপহার হিসেবে সিদ্ধার্থর কিনে আনা শাড়িগুলি থেকে একটি বেছে নেয় মিঠাই। নিজের হাতে তাকে সেই শাড়ি পরিয়ে দেবে সিদ্ধার্থ।
এ ভাবেই সকলের অগোচরে একে অপরের কাছে আসছে তারা। ঝড়ঝঞ্ঝা কাটিয়ে এখন 'মনোহরা'য় প্রেমের মরশুম।