অবশেষে এল প্রতীক্ষিত মুহূর্ত। মান-অভিমান অতীত। ঝগড়া মিটল দাদু-ঠাম্মার। অর্থাৎ সুষমা-সিদ্ধেশ্বরের।
মিঠাইয়ের 'প্ল্যান' সফল। অবশেষে ফুলশয্যা হল করতে-গিন্নির। দীর্ঘ দিনের বিবাদে ইতি। তবে কথায়-কথায় ফাঁস হল সত্যি। সিদ্ধেশ্বর যে কৃষ্ণমূর্তিটি আদৌ সুষমাকে উপহার করেনি, জানা যায় সে কথাও। শেষমেশ গান গেয়ে স্ত্রীর মানভঞ্জন করে 'মনোহরা'র কর্তা। প্রেমের রেশ ছড়িয়ে পড়ল মিঠাইয়ের মনেও। গানের সুরে স্বপ্ন বুনে ফেলল সে।
স্বপ্নের রেশ কাটল। কাটাল উচ্ছেবাবু স্বয়ং। অগত্যা মিঠাইকে বসতে হল ব্যবসার হিসেবনিকেশ নিয়ে। কাজের মাঝেও চলতে থাকল খুনসুটি। মিঠাইকে থামানো অতই কী সোজা!
সকাল হতেই রথযাত্রা উপলক্ষে পুজোর তোড়জোড়। বাড়ি জুড়ে উৎসবের আমেজ। ব্যস্ত মিঠাই। তার হাঁকডাকেই ঘুম ভাঙার সিদ্ধার্থের। আদেশ জারি হয়, বাড়ির সকলের সঙ্গেই কাজ করতে হবেও। অগত্যা ঘুম কাটিয়ে সন্দীপের সঙ্গে বাজারে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে হয় তাকে।
এ যেন অসাধ্য সাধন! সিডের হাতে বাজারের ব্যাগ দেখে বাড়ির সবাই থ। এই বিরল দৃশ্য লেন্সবন্দি করে রাখে নীপা। হাসাহাসিও হয় বিস্তর।
পুজোয় অতিথি হয়ে আসে অনুরাধা। বিশেষ দিনে ঘর সাজানোর অনুমতিও পায় সে। 'ছেলে বনাম মেয়ে'র লড়াই শেষে মোদক পরিবারে আপাতত খুশির মরশুম।