দুঃসময় যেন কাটতে চায় না। একের পর এক সমস্যার সম্মুখীন মোদক পরিবার। এ বার ঘরছাড়া হতে চলেছে তারা।
ভাইয়ের অকাল মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে ফিরে এসেছে আদিত্য। সিদ্ধার্থর থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা তার। নিজের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য স্থানীয় কাউন্সিলার প্রমীলা সাহার সাহায্য নিচ্ছে সে।
'মনোহরা'র জমি কিনে নিতে চায় আদিত্য। তাই মিঠাইদের বাসস্থানকে ধূলিসাৎ করে দেওয়াই তার একমাত্র লক্ষ্য। কার্যসিদ্ধির জন্য সিদ্ধেশ্বরের সঙ্গে দেখা করে প্রমীলা। তাকে বাড়ি প্রোমোটারকে দিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। পরিবর্তে বিপুল পরিমান অর্থ আর বিলাসবহুল ফ্ল্যাট পাইয়ে দেওয়ারও লোভ দেখায়।
সিদ্ধেশ্বর যদিও জানিয়ে দেয়, বাড়ি সে বিক্রি করবে না। বুঝিয়ে দেয়, অর্থ বা ফ্ল্যাটের লোভ দেখিয়ে তার সিদ্ধান্ত বদলানো যাবে না।
এর পর মিঠাইদের মিষ্টির দোকানে গুন্ডা পাঠানো হয়। কিন্তু তাতেও কার্যসিদ্ধি হয় না।
(আরও পড়ুন: মোদক পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ! 'মিঠাই'-এর গল্পে বড় মোড়!)
প্রমীলা তবু দমে যাওয়ার পাত্রী নয়। মোদক পরিবারের সদস্যদের অগোচরে 'মনোহরা'য় প্রচুর পরিমান সোনার বার লুকিয়ে রাখে সে। এর পরেই পুলিশের হানা। অভিযোগ, মিষ্টির ব্যবসার আড়ালে অসাধু কোনও কাজ করছে সিদ্ধেশ্বর। দুর্নীতি করছে সে।
(আরও পড়ুন: ফের বিপদের মুখে মিঠাই! মোদক পরিবারকে জব্দ করতে এ কী করল প্রমীলা!)
মোদক পরিবারের সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকোউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়। 'মনোহরা' ছেড়ে দেওয়ারও নির্দেশ হওয়ার হয় তাদের। মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত সিদ্ধেশ্বর। এই সমস্যার কারিগর কে, তা প্রত্যেকেই জানে। কিন্তু প্রমাণ কোথায়!
বাড়ি ছেড়ে দিতে হবে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছে সকলেই। রুদ্র, রাতুলদের বাড়িতে আশ্রয় নিতে রাজি নয় সিদ্ধেশ্বর। সিদ্ধার্থকে কম দামের একটি ভাড়া বাড়ি খুঁজতে বলে সে। অবশেষে সাময়িক একটি বাসস্থানের খোঁজ পাওয়া যায়।
মোদক পরিবারের এই দুর্দশার জন্য দায়ী কে? একা প্রমীলা লাহা কি এত বড় ষড়যন্ত্র করতে পারে? নাকি নেপথ্যে রয়েছে অন্য কেউ? এমনই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে চলেছে সিদ্ধার্থ।