প্রেমে ভাসছে সিদ্ধার্থ-মিঠাই। শুরু হয়েছে জীবনের নতুন অধ্যায়। সব বিপদ, ঝড়ঝঞ্ঝা কাটিয়ে ভালোবাসার উষ্ণতা গায়ে মেখে নিচ্ছে তারা।
ধুমধাম করে বিয়ের জন্মদিন পালন হয়েছে। হয়েছে মালাবদলও। নিজেদের স্বপ্নের পৃথিবী গড়ে তুলেছে সিদ্ধার্থ-মিঠাই। একে অপরকে নতুন ভাবে চিনেছে। স্ত্রীর জন্য গিটার বাজিয়ে গান করেছে সিদ্ধার্থ। আবার চেনা ছকের বাইরে গিয়ে বরকে চমকে দেয় মিঠাই। এ ভাবেই নিজেদের বিশেষ দিনকে আরও বিশেষ করে তুলেছে তারা।
ওমি আগরওয়ালের হত্যা মামলা থেকেও নিষ্কৃতি পেতে পারে সিদ্ধার্থ। তাকে নির্দোষ প্রমাণ করার মতো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। আদালতে তা পেশ করলেই হবে মুশকিল আসান। নিশ্চিন্ত মিঠাইও।
ভাইয়ের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে নতুন ফাঁদ পাতছে আদিত্য। স্থানীয় কাউন্সিলার প্রমিলা সাহার সাহায্য চায় সে।
(আরও পড়ুন: ওমি-আদিত্যর পর নতুন সঙ্কটে মনোহরা! 'মিঠাই'-এর গল্পে বড়সড় চমক)
পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রমিলা গিয়ে হাজির 'মনোহরা'য়। নিজের পরিচয় দিয়ে সকলের সঙ্গে আলাপও সারে। কথা কিছু দূর এগোতেই স্বরূপ ধারণ করে প্রমিলা। সিদ্ধেশ্বরকে 'মনোহরা' প্রোমোটারকে দিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেয় সে। পরিবর্তে বিপুল পরিমান অর্থ আর বিলাসবহুল ফ্ল্যাট পাইয়ে দেওয়ারও লোভ দেখায়।
(আরও পড়ুন: মিঠাইয়ের জন্য গিটার বাজিয়ে 'কেসারিয়া' গাইল সিড! তার পর যা হল...)
সিদ্ধেশ্বর যদিও জানিয়ে দেয়, বাড়ি সে বিক্রি করবে না। অর্থ বা ফ্ল্যাটের প্রয়োজন নেই। পরিবারই তাদের সব চেয়ে বড় সম্পদ। তার সুরে সুর মেলায় মোদক পরিবারের বাকি সদস্যরা।
প্রমিলার লোভনীয় প্রস্তাব যদিও তোর্সার মনে ধরেছে। নিজের কার্যসিদ্ধির করতে তোর্সার লোভকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা প্রমিলার। পুরো বিষয়টি যদিও মিঠাইয়ের নজর এড়ায়নি।
প্রমিলার সাহায্যে কি ফের মিঠাই এবং তার পরিবারের ক্ষতি আদিত্য? অপেক্ষা করছে কোনও নতুন বিপদ? এখন সেটাই দেখার।