'মনোহরা' মানেই যেন উৎসব। মিলেমিশে থাকা আর জীবনের বিশেষ মুহূর্তগুলিকে উদযাপনের মাঝেই আনন্দ খুঁজে নেয় মোদক পরিবারের সদস্যরা।
সদ্য ধুমধাম করে মিঠাই-সিদ্ধার্থের বিয়ের জন্মদিন উদযাপন করা হল। মালাবদল, হাসি-আড্ডা-খুনসুটি! যেন বইয়ের পাতা থেকে উঠে আসা এক একান্নবর্তী পরিবারের আখ্যান। কিন্তু এই আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মাঝেই ফের নতুন বিপদ।
ভাইয়ের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে নতুন ফাঁদ পাতছে আদিত্য। স্থানীয় কাউন্সিলার প্রমীলা সাহার সাহায্য নিচ্ছে সে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রমীলা গিয়ে হাজির 'মনোহরা'য়। নিজের পরিচয় দিয়ে সকলের সঙ্গে আলাপও সারে। কথা কিছু দূর এগোতেই স্বরূপ ধারণ করে প্রমিলা। সিদ্ধেশ্বরকে তার বাড়ি প্রোমোটারকে দিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেয় সে। পরিবর্তে বিপুল পরিমান অর্থ আর বিলাসবহুল ফ্ল্যাট পাইয়ে দেওয়ারও লোভ দেখায়।
(আরও পড়ুন: 'মনোহরা'য় নতুন ঝড় আনছে প্রমীলা! খুশির মরশুমে মিঠাইয়ের জীবনে এ কোন বিপদ!)
সিদ্ধেশ্বর যদিও রাজি হয় না। জানিয়ে দেয়, কোনও ভাবেই 'মনোহরা' বিক্রি করা হবে না। অর্থ বা ফ্ল্যাটের প্রয়োজন নেই। পরিবারই তাদের সব চেয়ে বড় সম্পদ।
(আরও পড়ুন: ওমি-আদিত্যর পর নতুন সঙ্কটে মনোহরা! 'মিঠাই'-এর গল্পে বড়সড় চমক)
মোদক পরিবারের সঙ্গে কথা বলে লাভ হল না। অগত্যা অন্য পথে হাঁটল প্রমীলা। মিঠাইদের মিষ্টির দোকান একদল গুন্ডা পাঠায় সে। সেখানে গিয়ে দোকান ভাঙচুরের চেষ্টা করে তাঁরা। কিন্তু মিঠাই কি ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী! গুন্ডাদের গায়ে রস ঢেলে দিয়ে ঠান্ডা করে তাদের।
স্ত্রীর কাণ্ড দেখে অবাক সিদ্ধার্থ। সবে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেছে মিঠাই। তার পরেই আবার এত কাণ্ড! বরের বকুনি যদিও মিঠাইকে দমাতে পারেনি। তার সন্দেহ, প্রমীলাই নিজের কার্যসিদ্ধির জন্য তাদের জীবনে সমস্যা সৃষ্টি করছে।
মিঠাই কি প্রমীলাকে পরাস্ত করতে পারবে? আদিত্যর ষড়যন্ত্র কি ফাঁস হবে? এখন সেটাই দেখার।