'মনোহরা'য় খুশির হাওয়া। ফিরে এসেছে মিঠাই। আর এসেই নীপার ফুলশয্যার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে। ছোট ননদের আবদার বলে কথা! তা কি ফেলে দেওয়া যায়!
রাজীব-রাতুলদের সঙ্গে ফুলশয্যার প্রস্তুতি শুরু করে সিদ্ধার্থ। স্ত্রীর আদেশ মেনে তার মাতামাতিও কিছু কম নয়। আপাতত আমি আগরওয়ালের চিন্তা সরিয়ে আনন্দে মেতে উঠেছে সে। মোদক পরিবারে আপাতত খুশির হাওয়া। আগের মতোই চলছে আড্ডা-খুনসুটি-হাসাহাসি। পরিবারের গুরুজনদের সামনেই ফুলশয্যার পরিকল্পনা শুরু করে দেয় নীপা। তা দেখে হাসি সামলাতে পারেনি পরিবারের সদস্যরা!
এমনই সময়ে সন্দীপের সঙ্গে 'মনোহরা'য় আসে পিঙ্কি। দাদার জন্য লজ্জিত সে। তার চোখেমুখে লজ্জা, সংকোচের ছাপ। কিন্তু কোনও দ্বিধা ছাড়াই তাকে কাছে টেনে নেয় মিঠাই। জানায়, ওমির অপরাধের ছাপ পড়বে না তার এবং পিঙ্কির সম্পর্কে। একই কথা বলে সিদ্ধেশ্বর। দাদার অন্যায়ের বোঝা বোনের কাঁধে চাপিয়ে দিতে রাজি নয় সে।
(আরও পড়ুন: মিঠাইকে হাতকাটা নাইটি পরাচ্ছে সিদ্ধার্থ, ‘বোল্ড সিনে’ আপত্তি দর্শকদের একাংশের!)
এর পরেই পিঙ্কির দ্বারস্থ নীপা। ফুলশয্যায় ঘোমটা দিয়ে বরের জন্য অপেক্ষা করার আদবকায়দা বৌদির শিখে নিতে চায় সে। সবটাই তো হতে ফিল্মি, নিখুঁত। তার জন্য পরামর্শ চাই বৈকি! স্ত্রীর কাণ্ড দেখে লজ্জায় লাল রুদ্র। 'মনোহরা' থেকে পালানোর ফন্দি তার। কিন্তু সেই পরিকল্পনায় জল ঢালে হল্লা পার্টি!
ইতিমধ্যেই ফুলে ফুলে সেজে ওঠে নীপার ঘর। হলুদ শাড়িতে তাক লাগায় নতুন কনেও। ঘোমটা দিয়ে অপেক্ষা করে বরের জন্য। কিন্তু রুদ্রর কি অত সজজে ছাড় মেলে! জীবনের বিশেষ রাতের জন্য তাকে প্রস্তুত করছে সিদ্ধার্থরা। সেই প্রস্তুতি পর্বের মাঝেই চলতে থাকে খুনসুটি।
(আরও পড়ুন: বুকে গুলি লেগেছে মিঠাইয়ের, তাহলে হাতে প্লাস্টার কেন? জানুন এর পিছনের আসল গল্প)
অবশেষে হল্লা পার্টির হাত থেকে ছাড় পায় রুদ্র। গটগটিয়ে ঢুকে পড়ে ফুলশয্যার ঘরে। স্ত্রীকে ঘোমটা দিয়ে বসে থাকতে অবাক সে! বরের সেই অবস্থা দেখে ঝাঁঝিয়ে ওঠে নীপা! কিছুই যে ছবির মতো হল না। সবটাই ঘেটে দিল তার রুদ্রদা!
সব মিলিয়ে মোদক পরিবারে এখন উৎসবের মরশুম। কিন্তু এখনও অধরা ওমি। ছদ্মবেশে দিব্যি পালিয়ে বেড়াচ্ছে সে। মিঠাইয়ের জন্য গা ঢাকা দিয়ে অপেক্ষা করছে কোনও বিপদ? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।