বাড়ির পুজো সামলে অফিস গেল মিঠাই। সঙ্গী উচ্ছেবাবু। স্বামী-স্ত্রী মিলে সেরে নিচ্ছে ব্যবসার হিসেবেনিকেশ। আর কাজের ফাঁকেই চলছে খুনসুটি। এ ভাবেই শুরু হয়েছিল সকাল। বেলা গড়াতেই চিন্তার ভাঁজ 'সিধাই'-এর কপালে। আচমকাই অসুস্থ হয়ে পরে সমরেশ।
অসুস্থ সমরেশকে বাড়িতে নিয়ে এসেছে অনুরাধা। শ্বশুরমশাইয়ের অসুস্থতার খবর শুনে বাড়ি আসে মিঠাই। বাবাকে নিয়ে চিন্তিত সিদ্ধার্থও। খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম করে সমরেশ। এ কথা সিদ্ধার্থের অজানা নয়। তা নিয়ে এক প্রকার আকারে-ইঙ্গিতেই ঝগড়া হয় বাবা-ছেলের। সিদ্ধার্থের অভিযোগ, বাবার স্বাস্থ্যের দিকে নজর নেই মিঠাইয়ের। তাই এই দুর্ভোগ। অনুরাধার সামনেই বকাবকি করে স্ত্রীকে। তাকে থামিয়ে মিঠাইকে নিয়ে রান্নাঘরে চলে যায় অনুরাধা। নিজের হাতে খাবার বানিয়ে আনে সমরেশের জন্য।
আপাতত সমরেশের বিশ্রামের পালা। বাবার জন্য স্যুপ করে পাঠিয়েছে সিদ্ধার্থ। খাওয়াতে হবে মিঠাইকে। তখনই বাবাকে দেখতে আসে শ্রীতমা। ছেলে-মেয়ের কাছে অনিয়মের জন্য বকা খায় সমরেশ। একাকীত্বই কি সমরেশের নিজের প্রতি অবহেলার কারণ? মিঠাই, সিদ্ধার্থ, শ্রীতমার কাছে প্রশ্ন তোলে রাতুল।
এ বার কি তবে নতুন বসন্ত সমরেশের জীবনে? আর সেই বসন্তের নাম কি অনুরাধা? এখন সেটাই দেখার।