মন থেকে ভালোবেসে মিঠাই-কে বিয়ে করেনি সিদ্ধার্থ। তাই শুরু থেকেই মিষ্টি স্বভাবের এই মেয়ের উপর খুব রাগ উচ্ছেবাবু সিদ্ধার্থের। কিন্তু ওই কথায় বলে না, প্রেমের শুরুটা হয় ঝগড়া দিয়ে। সেই হিসাব মিলে যাচ্ছে অক্ষরে অক্ষরে। ডিভোর্সের মামলায় শিলমোহর পড়ল বলে,অথচ সিদ্ধার্থ এখন মিঠাইয়ে মনে মনে ভালোবেসে ফেলেছে। যদিও মুখে সে কথা প্রকাশ করেনি, কিন্তু মিঠাইয়ের পাশে অন্য কাউকে কিছুতেই দেখতে পারছে না সিধ। রুদ্রর সঙ্গে মিঠাইয়ের বিয়ে নিয়ে ঘোরতর আপত্তি সিদ্ধার্থের। কিন্তু নাছোড়বান্দা দাদু। সিদ্ধার্থ মুখ থেকে তার ভালোবাসার কথা প্রকাশ করতে এবং সিদ্ধার্থ-মিঠাইয়ের ডিভোর্স আটকাতেই বিয়ের ফন্দি এঁটেছেন দাদু।
দাদুর প্ল্যান যে একদম সঠিক পথে চলছে তা তো দেখাই যাচ্ছে। রুদ্রর সাথে মিঠাই এর বিয়ের কথা শুনে প্রকাশ্যেই প্রতিবাদ জানিয়েছে সিদ্ধার্থ। মিঠাইকে সে ডিভোর্স দেবে না এমন কথাও বলেছে কিন্তু ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী নয় টেসও। সে নানারকমের ফন্দি এঁটে চলেছে মিঠাই-সিদ্ধার্থকে আলাদা করবার। এর মাঝেই কাহানিতে বড়সড় টুইস্ট।
সামনে এসেছে ‘মিঠাই’ সিরিয়ালের নতুন প্রোমো। প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে মিঠাই আর সিদ্ধার্থর ফুলশয্যার সিকুয়েন্স। যেখানে দুদিন আগে ডিভোর্স হচ্ছিল শুধু পেপার সাইন হওয়াটা বাকি, সেখানেই তাদের ফুলশয্যা! কিন্তু সিদ্ধার্থের সাথে একই বিছানায় কিছুতেই শুতে ইচ্ছুক নয় মিঠাই, মাটিতে বিছানা পাততে শুরু করে সে। কিন্তু নাছোড়বান্দা উচ্ছেবাবু। জোর করে কোলে তুলে মিঠাইকে বিছানায় নিয়ে যায় সে, সিদ্ধার্থ সাফ বক্তব্য, ‘ফুলশয্যা যখন তখন দুজনকেই খাটে শুতে হবে’।এইসব দেখে মিঠাই তো বলেই ওঠে, ‘গোপাল হেলেপ’।
টিআরপি তালিকায় গত দু-মাস ধরে এক নম্বর স্থান থেকে টলানো যাচ্ছে না মিঠাই-কে। সিরিয়ালের নতুন এই প্রমোও ঝড়ের গতিতে ভাইরাল। কম্পিটিশন যতই মজবুত হোক না কেন, আগামিদিনেও মিঠাই-এর কাহিনিতে একের পর এক টুইস্ট এনে দর্শক ধরে রাখার প্রচেষ্টায় কোনও খামতি থাকবে না টিমের তরফে তা স্পষ্ট। জি বাংলার এই ধারাবাহিকে মিঠাই-এর ভূমিকায় অভিনয় করছেন সৌমিতৃষা কুণ্ডু, অন্যদিকে সিদ্ধার্থের চরিত্রে দেখা মিলছে আদৃত রায়ের। দর্শকরা এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় সিদ্ধার্থ কবে মনের কথাটা তাঁর স্ত্রী-কে বলবে!