খুশি ক্ষণস্থায়ী! এক মুহূর্তে হাওয়ায় মিলিয়ে গেল আনন্দ, উচ্ছ্বাস। ওমি আগরওয়ালের গুলিতে গুরুতর আহত মিঠাই। হাসপাতালে ভর্তি সে। 'মনোহরা'র আকাশে মন খারাপের মেঘ। মিঠাই সুস্থ হবে তো? বাড়ি ফিরে হইহই করে ফের মাতিয়ে রাখবে সবাইকে? এমনই নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মনে।
ভেঙে পড়েছে সিদ্ধার্থ। স্ত্রীকে হারানোর ভয় কুরে কুরে খাচ্ছে তাকে। স্নানখাওয়া ভুলে মিঠাইকে ফিরিয়ে আনার পথ খুঁজে চলেছে সে। কথা বলেছে চলেছে অচেতন স্ত্রীর সঙ্গে। কিন্তু হায়! মিঠাই যে চোখ খোলে না। সাড়াও মেলে না।
ক্লান্তিতে চোখ বুজে আসে সিদ্ধার্থের। আর তখনই হাজির মিঠাই। বাস্তবে নয়, ভাবনায়। উচ্ছেবাবুর সঙ্গে যেন কথা বলছে সে। ফিরেছে সেই হাসি, সেই আনন্দ। কিন্তু চোখ খুলতেই সব শেষ! ক্ষনিকের স্বপ্ন ভেঙে যায়। ফের কঠিন বাস্তবের মুখোমুখি মিঠাইয়ের উচ্ছেবাবু।
তবে হার মানতে রাজি নয় সিদ্ধান্ত। স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার সংকল্প নিয়ে ফের হাসপাতালে যায়। কিন্তু চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছে না মিঠাই। চিকিৎসক জানায়, কোমায় চলে যেতে পারে সে। এর পরেই ময়দানে নাম সিড। নিজের মতো করে চেষ্টা করার অনুমতি চায় চিকিৎসকের কাছে। অনুমতি মেলেও।
মিষ্টি বানাতে ভালোবাসে মিঠাই। তাই সেই মিষ্টি তৈরি হবে তার সামনে। তা হলেই সে সাড়া দেবে। অন্তত তেমনটাই মনে করেছে সিদ্ধার্থ। দুই ময়রাকে নিয়ে হাসপাতালে হাজির সে। হইচই করে, মিষ্টি তৈরির কথা বলে মিঠাইকে জাগিয়ে তোলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
স্বামীর চেষ্টায় সাড়া দেবে সে? ফের খুশির হাওয়া বইবে 'মনোহরা'য়? এখন সেটাই দেখার।