সিঙ্গাপুরে যাওয়ার আগেই ডিভোর্স পেপারে স্বাক্ষর করে গিয়েছিল সিদ্ধার্থ। সেকথা জানাজানি হতেই মাথায় বাজ ভেঙে পড়েছে মোদক পরিবারের। প্রথমবার সিদ্ধার্থের আচরণে মন ভেঙেছে দাদাইয়ের। তাই শুরুর আগেই ভেস্তে দিয়েছে মিঠাই-সিদ্ধার্থের তিন নম্বর বিয়ে। এর মাঝেই সেখানে হাজির মিঠাইয়ের মা। মেয়ের অপমান আর সহ্য করতে না-রাজ তিনি। মিঠাইকে তিনি জনাই ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান।
শনিবারের হাইভোল্টেজ পর্বে ছিল টানটান উত্তেজনা। মিঠাই যখন আর তাঁর নাত-বউই নয়, তখন তাঁর মায়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মিঠাইকে আটকে রাখতে চান না দাদাই। তাই শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চিরকালের মতো চলে যাচ্ছে মিঠাই। গোটা পরিস্থিতি দেখে হতভম্ব সিদ্ধার্থ। বিষয়টা এইভাবে সকলের সামনে চলে আসবে সেটা বোধহয় কল্পনাও করেনি সে। বিয়ে নামের সামাজিক প্রতিষ্ঠানে বিশ্বাস নেই উচ্ছেবাবুর। তবে মিঠাই এই বাড়িতেই থাকুক চায় সে।
চলে যাওয়ার আগে ‘দাদুর নাতি’র লটপট (ল্যাপটপ)-এর চার্জার থেকে যাবতীয় জিনিসপত্র কোথায় রয়েছে তা বুঝিয়ে দিতে চায় মিঠাই। সিদ্ধার্থের কড়া প্রশ্ন, 'তুমি কি নিজের ইচ্ছায় চলে যেতে চাও?' অভিমানের সুরে মিঠাইয়ের পালটা জবাব, ‘মিঠাই কবে নিজের ইচ্ছায় কী করেছে?’ এমনকি এই বিয়েটাও সে নিজের ইচ্ছায় করেনি সাফ জানিয়ে দেয় সে।
অনুশোনায় ভুগছে সিদ্ধার্থ, স্পষ্ট তাঁর কথায়। সে জানতে চায়, ‘তোমার প্রতি অনেক অন্যায় করেছি না মিঠাই?’ তবে উচ্ছেবাবুকে দোষ দিতে চায় না সে। মিঠাই জানায়, ‘তুমি নিজেকে দোষ দিও না দাদাবাবু, তুমি তো আমাকে ঠকাওনি। শুরুতেই তুমি বলে দিয়েছিলে দাদুর কথায় এই বিয়েটা তুমি করছো। আমি কিছু উপকার করেছি, তুমিও কিছু করেছো, সব শোধবোধ হয়ে গেছে’।
সিদ্ধার্থ মিঠাইকে মোদক পরিবারে থেকে যাওয়ার কথা বললে সে জানায়, ‘কী পরিচয়ে থাকবো?’ তবে পরক্ষণেই মায়ের হয়ে সিদ্ধার্থের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলে, ‘ যে বিয়েতে বিশ্বাস করে না, সে কী করে মিঠাইকে বউ হিসাবে মেনে নেবে? সে কী করে সংসার করবে? আমার মা-কে বুঝিও না। উনি বুঝবেন না’।
সিদ্ধার্থের পা ছুঁয়ে আর্শীবাদ নিয়ে ‘ইস্টুপিড’-এর মতো কাজ করেই বিদায় নিতে উদ্যোগী হয় মিঠাই। সত্যি কি মোদক পরিবার ছেড়ে চলে যাবে মিঠাই, নাকি কাহিনিতে বড় কোনও টুইস্ট রয়েছে? ধারাবাহিকের আগামী পর্বে খোলসা হবে এই বিষয়ের।