ছেলে বনাম মেয়ের তরজা এখনও জারি। ঝগড়া যেন থামতেই চায় না। সন্দীপ আর পিঙ্কির 'মনোহরা'য় পা ফেলতেই যতক্ষণ!
যে কোনও একটি দল বেছে নিতে বলা হয় পিঙ্কিকে। এমন আজগুবি হুকুমে সে খানিক অপ্রস্তুত। কেন এই দলাদলি, তার কিছুই জানে না সে। অবশেষে মিঠাই জিজির দলেই যোগ দেয় সে। আর সন্দীপকে টেনে নেওয়া হয় ছেলেদের দলে। এর পর ফের অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের পালা। মিঠাই যদিও আর এ সব চায় না। মনে মনে তার প্রার্থনা, এ বার এই লড়াই থামুক। শান্ত হোক সবাই।
সে সব আর হচ্ছে কোথায়! তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই ফের হুলস্থূল কাণ্ড। অফিস যাওয়ার আগে রুমাল খুঁজে পাচ্ছে না সিড। ব্যস, তার রাগ এক্কেবারে সপ্তমে। স্ত্রীকে দোষারোপ শুরু। সে সবই যদিও মিঠাই দরজার সামনে দাঁড়িয়ে দেখেছে। যোগ দেয় নিপাও। বৌদির হয়ে কথাও বলে সে। তখনই রাতুলের আগমন। ঘটনাচক্রে দরকারি পেনড্রাইভটিও খুঁজে পায় সে। এ সবের মাঝেই ভাইয়ের কাছে শার্ট ইস্ত্রি করার আবদার নিয়ে আসে রাজীব। রাতুল জানিয়ে দেয়, সে এ সব পারবে না। ছেলেদের দলের অবস্থা দেখে ব্যঙ্গ করে মেয়েরা। নন্দাও তার স্বামীকে কথা শোনাতে ছাড়েনি। ভাবা হয়েছিল, বাইরে থেকে শার্ট ইস্ত্রি করিয়ে বলা হবে রাজীব নিজেই নিজের কাজ করেছে। কিন্তু সে গুড়ে বালি দেয় সন্দীপ। না বুঝেই এই পরিকল্পনার কথা ফাঁস করে ফেলে সে।
অন্য দিকে, রান্নার প্রস্তুতি নেয় মেয়েরা। ঘোষণা করে, হইহই করে কাজ করবে তারা। গান বাজিয়ে নাচানাচি শুরু করে দেয় রান্নাঘরে। ছেলেরা কি তবে পিছিয়ে যাবে? রান্না না পারুক, নাচতে তো দোষ নেই! তারাও মেয়েদের পাল্লা দিয়ে গান চালিয়ে নাচতে শুরু করে। আর ঠিক তখনই বাড়িতে আসে সমরেশ। এই দৃশ্য দেখে হতবাক সে। ধমক দিয়ে চুপ করায় সবাইকে। দাদার কাছে নালিশ করে অপরাজিতাও।
এ বার কি তবে বিবাদ থামবে? এখন সেটাই দেখার।