ছেলে বনাম মেয়ে বিবাদে ইতি টানা যায়নি। বাড়ি সামলেই ব্যবসা দেখছে মিঠাই। তার ইচ্ছে, স্কুটি চালিয়ে সে অফিস যাবে। কিন্তু তা আর হল কই! মিঠাইয়ের সঙ্গী হল সিদ্ধার্থ। সকলের আড়ালে স্কুটি চালানোর প্রশিক্ষণ দিল স্ত্রীকে। আর সেই সুযোগেই কাছাকাছি 'সিধাই'।
অন্য দিকে, সমরেশের সঙ্গে অফিসে দেখা করতে হাজির অনুরাধা। সঙ্গে উপহার। সিদ্ধার্থের বাবাকে একটি বই দেয় সে। আর ঠিক তখনই সেখানে হাজির সিদ্ধার্থ-মিঠাই। উচ্ছেবাবু জানিয়ে দেয়, তার বাবা জীবনে কখনওই বই পড়েনি। কিন্তু সমরেশ জানায়, এ বার সে ছবি বদলাবে। অনুরাধার দেওয়া বই সে পড়বে। এই আলাপ-আলোচনার মধ্যেই শুরু হয় সিড-মিঠাইয়ের তর্ক। অনুরাধার কাছে সবটাই যদিও মজার বলে ঠাহর হয়।
মনোহরায় 'রণং দেহী' আবহাওয়া। মেয়েদের শায়েস্তা করতে টেবিল টেনিসের আয়োজন করেছে ছেলেরা। বাড়ির টেবিল ব্যবহার করেই নাকি হবে খেলা। সেই পরিকল্পনার কথা জেনে চিন্তায় মিঠাই। বিষয়টা আড়াল করার চেষ্টাও চালায়। কিন্তু তা আর হল কই! ছেলেদের হইচই শুনে নীচে নেমে আসে মেয়েরা। তাদের টেবিল টেনিস খেলা দেখে হতবাক সুষমা। নেটের অভাবে টেবিলে সারি সারি খাবারের পাত্র রেখেই চলতে থাকে খেলা। খেলতে গিয়েই আঘাত পায় রাজীব। নতুন করে শুরু ঝগড়া! শ্রীতমা জানায়, মেয়েরাও আনন্দ করবে। লং ড্রাইভে যাবে তারা।
এর পর? কবে থামবে এই বিতণ্ডা? আদৌ থামবে কি? জানতে মুখিয়ে অনুরাগীরা।