বাড়ির টেবিলে টেবিল টেনিস! ছেলেদের স্পর্ধা তো কম নয়! তাদের শায়েস্তা করতে তৎপর মেয়েরা। লং ড্রাইভে যাবে তারা। কাণ্ডারি শ্রী। সে-ই গাড়ি চালানোর দায়িত্ব তুলে নিয়েছে নিজের কাঁধে।
দুই দলের এই রেষারেষিতে খানিক দমেছে সুষমা। এত রাতে ড্রাইভ? বেজায় দুশ্চিন্তা তার। স্ত্রীকে আটকাতে যায় রাতুল। তার যুক্তি, ভালো গাড়ি চালায় না শ্রী। দুর্ঘটনা ঘটতে পারে যে কোনও মুহূর্তে। একই ভাবে মিঠাইকে বোঝানোর চেষ্টা চালিয়ে যায় সিড। আর তাতেই বাধে গোল! মেয়েরা পিছু হঠতে নারাজ। লং ড্রাইভে তারা যাবেই। তাদের আটকায় কার সাধ্য? তখনই নতুন 'ওষুধ'-এর অবতারণা। মেয়েদের জব্দ করার ওষুধ।
ঘোষণা করা হয়, মেয়েরা লং ড্রাইভে গেলে বাড়ি বসবে না ছেলেরাও। বাইক রেসিং করবে তারা। তাতে যদিও বিশেষ লাভ হল না। মনে মনে ভয় পেলেও 'ভাঙব তবু মচকাবো না' মনোভাব মেয়েদের। লং ড্রাইভে বেরনোর প্রস্তুতি নেয় তারা।
মিঠাই যদিও অন্য পথে হাঁটছে। এই ঠাণ্ডা লড়াই থামানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে চুপিচুপি । সঙ্গী ইন্দ্র, তার পুলিশ দাদা। তবে দলের লোকেদের এ সব বুঝতে দিলে চলবে না। তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাই সেজে উঠেছে সে। মেয়েদের প্রস্তুতিপর্ব দেখতে মেমঠাম্মা। সাজ সংক্রান্ত পরামর্শও দেয় তাদের। বিষয়টা যদিও সুষমার মনে ধরেনি। এ সব করতে গিয়ে যদি কিছু একটা হয়!
ললিতা যদিও স্বামী-সংসারের বাইরে মেয়েদের নিজস্ব জগৎ তৈরির পরামর্শ দিয়েছে। আর সেই পরামর্শ মেনেই সেজেগুজে লং ড্রাইভে যেতে প্রস্তুত মেয়েরা। ছেলেরা আটকানোর চেষ্টা করে ফের। তখনই শোনা যায় আপোসের সুর। শর্ত রাখে মেয়েরা। ছেলেদের স্বীকার করতে হবে যে, মেয়েদের জন্য চিন্তা করে তারা। বলতে হবে, ছেলেরা নিজস্ব স্পেস চায় না এবং মেয়েদের স্পেস দিতেও তাদের আপত্তি।
শেষমেশ কি পরাজয় স্বীকার করবে ছেলেরা? থামবে 'মনোহরা'র যুদ্ধ? এখন সেটাই দেখার।