'ছেলে বনাম মেয়ে'র লড়াই শেষ। শান্তি ফিরেছে 'মনোহরা'য়। কিন্তু বাড়ির কর্তা-গিন্নির বিবাদ এখনও মিটল না। দাদু-ঠাম্মার ভাব করাবে এই মিঠাই। এই গুরুদায়িত্ব নিয়ে সে পৌঁছে যায় অনুরাধার অফিসে। সঙ্গী সিদ্ধার্থ এবং সমরেশ।
মেম ঠাম্মাকে ঘিরেই মূল ঝামেলার সূত্রপাত। শেষমেশ তার মেয়ের কাছেই মীমাংসার পথ খুঁজতে যাওয়া! মিঠাই জানায়, সিদ্ধেশ্বর -সুষমার ফুলসজ্জার আয়োজন করা হয়েছে। মান ভাঙিয়ে দু'জনকে কাছে আনার দায়িত্ব তাই নিতে হবে অনুরাধাকেই। এই দাম্পত্য কলহের নেপথ্য কারণ যে তার মা, সে কথা ভালোই বোঝে ললিতার কন্যা। অগত্যা মিঠাইয়ে 'প্ল্যান' সফল করার দায়িত্ব নেয় সে।
অনেক আলাপ-আলোচনার পর অনুরাধা পৌঁছয় সুষমার কাছে। একটি কৃষ্ণমূর্তি তুলে দেয় তার হাত। বলে, সেটি সিদ্ধেশ্বরের উপহার। যদিও সেটা সত্যি নয়। সবটাই মিঠাইদের প্ল্যানের মহিমা। স্বামীর উপহারে অভিমানের বরফ গলে। খুশি হয় সুষমা। আর সেই দৃশ্যই লুকিয়ে লুকিয়ে উপভোগ করে মিঠাই-সহ বাড়ির বাকি মহিলারা। তোর্সা যদিও ফোড়ন কাটতে আসে। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ করতে পারেনি।
অন্য দিকে, ফুলসজ্জার খাট সাজাতে ব্যস্ত ছেলেরা। সে সব যদিও হচ্ছে সিদ্ধেশ্বরের অজান্তেই। অবশেষে রাগারাগি, ভর্ৎসনার পর নাতিদের সঙ্গে হাত মেলায় সে। কর্তা-গিন্নির মিল এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।