এবার আধ্যাত্মিক গুরু ওশো রজনীশ হয়ে পর্দায় ধরা দেবেন মিঠুন চক্রবর্তী! বহুদিন ধরেই বলিপড়ায় কান পাতলে শোনা যাচ্ছে এমন গুঞ্জন। অবশেষে এবিষয়ে নিজেই মুখ খুললেন মিঠুন। তাঁর কথায়, 'লোকে বলে আমাকে ওঁর মতোই দেখতে।'
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় একজন তাঁকে প্রশ্ন করেন, আপনাকে খানিকটা ওশোর মতো দেখতে, আপনি কি ওঁর চরিত্রে অভিনয় করছেন?
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী মিঠুন চক্রবর্তী এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘আপনি এত বড় কথা বলেছেন। এখন আমি আপনাকে কি জবাব দেব? দ্য কাশ্মীর ফাইলস ছবির শুটিংয়ের ফাঁকে আমি নিজের কিছু ছবি তুলেছিলাম। নিজস্ব মেজাজে বসে আমি সেই ছবিগুলি তুলেছিলাম। আমার মাথার উপরে আকাশ আর চারপাশের প্রকৃতি। সেগুলি দেখে তিনি (দ্য কাশ্মীর ফাইলস ছবির প্রধান সম্পাদক) আমায় বলেন, আমি নাকি ওশোর মতো দেখতে। আমাকে ওশো রজনীশের চরিত্রের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। তবে ছবিটি তৈরি করতে পাঁচ থেকে ছয় বছর সময় লাগবে। তাই এখনও কোনও কিছুই নিশ্চিত নয়। তবে বলতে পারি এটা একপ্রকার ঠিকঠাক বাছাই। তবে বিবেক অগ্নিহোত্রী চান, আমিই এই চরিত্রটা করি’।
আরও পড়ুন-মৌনী আমাবস্যায় বাবার সঙ্গে ত্রিবেণী সঙ্গমে শ্রীমা, মহাকুম্ভে হাজির রানা, শ্রীকান্ত মোহতাও
মিঠুন বলেন, আরও একজন আমাকে ওশোর চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাবও দিয়েছেন। আমি সেই ছবিটি করতেও রাজি হয়ে যেতে পারি। তবে যখন কোনওকিছুর জন্য হ্যাঁ বলব, তখন আমাকেও তেমন ভাবেই সবকিছুর জন্য তৈরি থাকতে পারে। কারণ এটা একটা বিশাল দায়িত্ব। ওশো তাঁর অনুসারীদের কাছে জীবন্ত ঈশ্বরের মতো। এটা কিন্তু মোটেও সহজ নয়, কিন্তু লোকে বলে আমি ওঁর মতো দেখতে। তিনি একজন মহান ব্যক্তি ছিলেন এবং তাঁর প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা রয়েছে।'
তিনি কি এখনও রোম্যান্টিক ছবি করতে চান? উত্তরে মিঠুন বলেন, ‘একেবারেই না। আমি খুব বাস্তববাদী মানুষ। সময়ের সঙ্গে আমিও বদলে গেছি। নিজের বয়স অনুযায়ী সবকিছু মানিয়ে নিয়েছি। এই বয়সে এসে আমি আর গতানুগতিক ছবির নায়ক হব না। যেমন বাংলায় আমি প্রজাপতি-র মতো ছবিও করেছি। নিজেকে আমি সিনেমার মাস্টার বলে মনে করি।'
প্রসঙ্গত, খুব শীঘ্রই মিঠুন চক্রবর্তীরে বিবেক অগ্নিহোত্রীর 'দ্য দিল্লি ফাইল: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার' ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে। মিঠুন বিবেক অগ্নিহোত্রীর সঙ্গে 'দ্য তাশখন্দ ফাইলস' এবং 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' ছবিতেও কাজ করেছেন।