কোনও কোনও মুহূর্ত মানুষকে এক নিমেষে পৌঁছে দেয় ছোটবেলার কাছে, ভাসিয়ে নিয়ে যায় নস্টালজিয়ায়। মিঠুনের সঙ্গেও এমনই হল। স্থান‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এর মঞ্চ। হঠাৎ সেখানে হাজির মিঠুন চক্রবর্তীর ছোটবেলার স্কুল। ঘটনাটি কী ঘটেছে?
এদিন দর্শক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ওরিয়েন্টাল সেমিনারি বয়েজ স্কুলের ছাত্র এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা। তাঁদের কাছে মিঠুন জানতে চান, কোন স্কুল থেকে এসেছেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে জানা যায়, ওই স্কুলেই মিঠুন ওয়ান থেকে ক্লাস টুয়েলভ পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। আর তাতেই নস্টালজিয়ায় ভাস গোটা মঞ্চ।
(আরও পড়ুন: টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আফগানিস্তানের বদলে কোথায় হবে মিঠুনের ‘কাবুলিওয়ালা’র শুটিং?)
তবে শুধু কথার মধ্যে দিয়ে পুরনো স্মৃতি ফিরে এসেছে, তাই নয়, এধিন মিঠুনের জন্য ছিল বেশ কিছু উপহারও। তার মধ্যে একটি হল বলিউড তারকার ভর্তির কাগজ। ওই স্কুলে তাঁকে ভর্তি করে আসেন তাঁর বাবা। স্বাক্ষর করে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেই কাগজও এত দিন সযত্নে রক্ষিত ছিল স্কুলে। স্কুলের কর্তৃপক্ষ তা খুঁজে বার করেছেন এবং সেটি তাঁরা মিঠুনের হাতে তুলে দিয়ে যান এদিন। সেখানে আরও বেশ কয়েক জন ছাত্রের ভর্তির প্রমাণ-সহ মিঠুনের নামও রয়েছে। এটি দেখেই সবচেয়ে বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তারকা। কারণ সেখানে রয়েছে তাঁর বাবার সই।
(আরও পড়ুন: ‘কাবুলিওয়ালা’ মিঠুন, আর 'মিনি'র চরিত্রে 'মিঠাই'-এর ছোট্ট ‘মিষ্টি’ অনুমেঘা!)
তিনি বলেন, বাবার সইটি দেখে তাঁর মনখারাপ হয়ে গিয়েছে। সবই সেখানে আছে, শুধু তাঁর পাশে এখন তাঁর বাবা নেই। কিছু দিন আগেই তিনি প্রয়াত হয়েছেন।
বারো ক্লাসে ওই স্কুল থেকে পাশ করে যান গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী। পরবর্তী কালে যাঁকে সারা দেশ চিনেছে মিঠুন চক্রবর্তী নামে। তিনি বারো ক্লাস পাশ করার পরেও তাঁর সেই উচ্চমাধ্যমিকের শংসাপত্র এখনও রয়ে গিয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছেই। তাঁরা সেটিও এত দিন ধরে সযত্নে রেখে দিয়েছিলেন। সেটিও ‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এর মঞ্চে দেওযা হয় তাঁকে। সই করে সেই শংসাপত্র গ্রহণ করেন তিনি।
এর পরে মিঠুন বলেন, এই মুহূর্তটি তাঁর কাছে খুব দামি। তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্কুলের সবাইকে ডেকে নেন মঞ্চে। স্মৃতি হিসাবে রেখে দেওয়ার জন্য ছবিও তোলেন সকলের সঙ্গে। মেগাস্টারের নিজের তো বটেই, বাকিদেরও চোখে তখন জল।