পুজোয় আসছে মিঠুন চক্রবর্তীর শাস্ত্রী। এই ছবিতে একজন কারখানার শ্রমিক থেকে জ্যোতিষী হয়ে ওঠার গল্প বলবেন তিনি। তার আগে অভিনেতা জানালেন তিনি কী দেখে আজকাল ছবি করতে রাজি হন।
শাস্ত্রী করতে কেন রাজি হয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী?
দীর্ঘদিন পর আবার একসঙ্গে একই ছবিতে কাজ করলেন মিঠুন চক্রবর্তী এবং মাস্টার বিট্টু ওরফে সোহম চক্রবর্তী। তবে কি সোহমের প্রতি স্নেহের টানেই এই ছবিতে সম্মতি জানিয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা, নাকি আছে অন্য কোনও কারণ? এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই বিষয়েই মুখ খুললেন তিনি। প্রসঙ্গত শাস্ত্রী ছবিতে সোহম কেবল অভিনয় করেননি। এই ছবির প্রযোজকও তিনি।
মিঠুন চক্রবর্তী শাস্ত্রী করতে রাজি হওয়ার কারণ জানিয়ে বলেন, 'এখন আর কারও জন্য স্ক্রিপ্ট পছন্দ করার জায়গায় নেই। বিট্টুর জন্য স্নেহটা আলাদা জায়গায়। তবে এখন স্ক্রিপ্ট পছন্দ করার আগে ভেবে দেখি এটা কি দর্শকদের মনে দাগ কাটবে? শাস্ত্রীর চিত্রনাট্য এই কারণেই বেছেছি কারণ এখানে আমার করার মতো অনেক কিছু ছিল। একই সঙ্গে শাস্ত্রী ছবি একটা বড় বার্তা দেবে। সেই জন্যই শাস্ত্রী করলাম।'
কী বার্তা দেবে শাস্ত্রী? এই বিষয়ে মিঠুন জানান, 'একদম শূন্য থেকে শুরু করে অনেক কিছু পেয়ে আবার শূন্যে ফিরে আসার গল্প দেখা যাবে এই ছবিতে। গরিবরা ম্যাজিক দেখতে চায়। ম্যাজিক খাটে ওদের উপর। সেই ম্যাজিক করতে গিয়েই কেউ কেউ সুবিধা নেয়। কারও কারও জীবনে সত্যিই সেই ম্যাজিক হয়। আর সেটা দেখেই অনেক অনেক মানুষের মনে বিশ্বাস জাগে। কিন্তু হয় না।'
শাস্ত্রী প্রসঙ্গে
শাস্ত্রী ছবিটির পরিচালনা করেছেন পথিকৃৎ বসু। এখানে মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে মিঠুন চক্রবর্তীকে। তবে স্ত্রীর চরিত্রে থাকবেন দেবশ্রী রায়। মিঠুনের চরিত্রের নাম পরিময়। সোহম চক্রবর্তী, সৌরসেনী মৈত্র, কৌশিক সেন, প্রমুখ থাকবেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায়। এই পুজোয় ৮ অক্টোবর মুক্তি পাবে ছবিটি।