প্রয়াত মিঠুন চক্রবর্তীর প্রথম স্ত্রী হেলেনা লিউক। রবিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী কল্পনা আইয়ার তার মৃত্যুর খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। হেলেনা অমিতাভ বচ্চনের ১৯৮৫ সালের সিনেমা মর্দ-এ অভিনয় করেছিলেন। মাত্র ৪ মাস বিবাহিত জীবন ছিল তাঁর আর মিঠুনের।
হেলেনা রবিবার সকাল সাড়ে নটায় ফেসবুকে তাঁর শেষ পোস্ট করেছিলেন। যেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘অদ্ভুত লাগছে। মিশ্র আবেগ। কেন এরকম হচ্ছে, কোনো ধারণাই নেই’। ঠিক কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা জানা যায়নি এখনও।
একটি পুরনো সাক্ষাৎকারে মিঠুনের সঙ্গে চতাঁর ৪ মাসের বিয়ে নিয়ে হেলেনা কথা বলেছিলেন। তিনি স্টারডাস্ট ম্যাগাজিনকে বলেছিলেন, ‘আমার শুধু মনে হয়, এটা যদি না হত! তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি আমার ব্রেনওয়াশ করেছিলেন যে, তিনি আমার জন্য আদর্শ মানুষ। আর দুর্ভাগ্যের কথা তিনি সেটা আমাকে বোঝাতে সক্ষমও হন।’ মাঝে একবার হেলেনার সঙ্গে মিঠুনের পুনর্মিলনের গুজব রটেছিল। তখন তিনি বলেন, ‘আমি তাঁর কাছে কখনো ফিরে যাব না, যদি সে আশেপাশের সবচেয়ে ধনী মানুষ হন তা-ও। আমি খোরপোশও চাইনি। ওটা একটা দুঃস্বপ্ন ছিল, আর তা শেষ হয়ে গিয়েছে।’
‘আমি সত্যিই তাঁকে বিশ্বাস করেছিলাম, যখন তিনি আমাকে বলেছিলেন যে, তিনি আমাকে ভালোবাসেন। কিন্তু যখন আমি তাঁকে ভালো করে চিনতে পারলাম, তখন বুঝলাম তিনি নিজেকে ছাড়া কাউকে ভালোবাসে না। তিনি অত্যন্ত অপরিণত ছিলেন, এবং যদিও আমি তাঁর থেকে বয়সে কয়েক বছর ছোট ছিলাম, আমি অনেক বেশি ম্যাচিওর ছিলাম। খুব অধিকারবোধ ছিল ওর। এবং আমার প্রাক্তন প্রেমিক জাভেদকে নিয়ে আমাকে নানা কথা বলতে। আমি তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করতাম যে আমি তা করিনি, কিন্তু তার গভীর শিকড়যুক্ত সন্দেহ করার প্রবৃত্তিকে নির্মূল করতে সফল হতে পারিনি। পরে আমি বুঝতে পারলাম তাঁর মধ্যেই একটা অপরাধবোধ আছে। আর আমার পিছনে আমাকে বোনা বানাচ্ছে। আর ভাবছে আমিও বোধহয় তা করি।’, বলেছিলেন হেলেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে মিঠুনের বিয়ের কথা পাকা হয়ে গিয়েছিল মমতা শঙ্করের সঙ্গে। তবে নানা কারণে সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। এরপর চন্দ্রদয় ঘোষকে ১৯৭৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিয়ে করেন মমতা শঙ্কর। আর তার এক বছর পর মিঠুন আর হেলেনের বিয়ে। ১৯৭৯ সালে বিয়ে আর ডিভোর্স দুটোই। এখানেই শেষ নয়, ১৯৭৯ সালেই মিঠুন দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন যোগিতা বালির সঙ্গে।