মিঠুন চক্রবর্তীর বউমা, এটাই তাঁর প্রথম পরিচয়। তবে গত কয়েক বছর সেই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে হিন্দি সিরিয়াল প্রেমীদের কাছে ‘কাব্য’ হিসাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন মালদাসা চক্রবর্তী। মিঠুনের বড় ছেলে মহাক্ষয় ওরফে মিমো চক্রবর্তীর স্ত্রী তিনি। স্টার প্লাসের জনপ্রিয় শো ‘অনুপমা’তে খলনায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেন থুড়ি করতেন মালদাসা!
হ্যাঁ, মাঝপথে দুম করেই শ্রীময়ীর হিন্দি ভার্সন থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন তিনি অর্থাৎ জুন আন্টি। সুধাংশু পাণ্ডে কিছুদিন আগেই এই মেগা ছেড়েছেন, এবার সরলেন মালদাসা। হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত? মালদাসার মনে হয়েছে পর্দায় অনুপমা সিরিয়ালের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ ছিল কাব্য। কিন্তু হালে সেই প্রেক্ষাপট বদলেছে। সিরিয়ালে গুরুত্ব হারাচ্ছিল তাঁর চরিত্র, সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত।
তবে দুম করে নয়, এক মাস ভাবনাচিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মালদাসা। অভিনেত্রী আনন্দবাজারকে জানান, ‘চার বছর একটা চরিত্রকে দিয়ে ফেলা মানে অনেকটা সময় নিজেকে একটা খোলসে আটকে রাখা। এর পরেও থেকে গেলে সেটা জোর করে থেকে যাওয়া হত।’
মালদাসা বরাবরই স্বাধীনচেতা। নিজের শর্তে কাজ করতে ভালোবাসেন। বর্তমানে বিনোদন জগতেও যৌন হেনস্থার অভিযোগ ভুরি ভুরি। সেই প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে মিঠুনের বউমা সটান বলেন, ‘আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে একটাও কথা বলব না। কারণ, অকারণ বিতর্ক পছন্দ করি না। তা ছাড়া, বিষয়টি বিচারাধীন।’ সব নারীর জন্য তাঁর বার্তা, সবসময় সব পরিস্থিতিতে সজাগ থাকতে হবে। বুদ্ধি করে এগোতে হবে।
ওদিকে আরজি কর ইস্যুতে গতকাল (সোমবার) ফের পথে নেমেছিলেন মিঠুন। বিজেপির ধরনা অবস্থানের শেষ দিন মঞ্চে ঝাঁঝালো বক্তব্য রাখেন মহাগুরু। আরজি করের চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় নাগরিক সমাজের ডাকে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ি থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত একটি প্রতিবাদ মিছিলে আগেই যোগ দিয়েছেন অভিনেতা।
সোমবার নবান্ন অভিযানের ডাক দেন তিনি। সভামঞ্চ থেকে মিঠুন বলেন, ‘ফের নবান্ন অভিযান হবে, আর সেই অভিযান ব্রিজে আটকে যাবে না। নবান্নের ১৪ তলা পর্যন্ত যাবে। ওরা এবার জলকামান চালিয়েছে, টিয়ার গ্যাস ছুড়েছে। তৈরি থাকুন গুলিও চালাবে’।