আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। রাত পোহালেই বক্স অফিসে মুখোমুখি লড়াইয়ে নামছে পুজোর তিনটি ছবি। মহাপঞ্চমীতে মুক্তি পাবে দেব-সৃজিতের বহুচর্চিত ছবি ‘টেক্কা’, শিবপ্রসাদ-নন্দিতা পরিচালিত ‘বহুরূপী’ এবং মিঠুন-সোহম-দেবশ্রীর ‘শাস্ত্রী’। কিন্তু লড়াই শুরুর আগেই বেশ খানিকটা পিছিয়ে শাস্ত্রী।
৮ই অক্টোবর দিল্লিতে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার গ্রহণ করবেন মিঠুন চক্রবর্তী। ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মান। আর ওই দিনই মুক্তি পাচ্ছে শাস্ত্রী, অথচ শুরুতেই যাত্রাভঙ্গ হওয়ার পালা! কারণ হল সংখ্যার বিচারে বহুরূপী এবং টেক্কার থেকে অনেক পিছিয়ে শাস্ত্রী। এই পুজোয় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক হল পেয়েছে আবির-ঋতাভরী-শিবপ্রসাদ-কৌশানির বহুরূপী। রাজ্যের প্রায় ৩২১টি হলে দেখানো হবে এই ছবি। ওদিকে শাস্ত্রীর শো-এর সংখ্যা এর অর্ধেকেরও কম। মাত্র ১৪৬টি।
দেব-সৃজিতের টেক্কা পেয়েছে ২৭৬টি শো। এই বছর পুজোয় এসভিএফ-এর কোনও ছবি মুক্তি পায়নি। যার ফলে শো দখলের ক্ষেত্রে লড়াইটা অন্তত সমানে সামনে হবে, এমনটাই আশা করেছিল অনেকে। কলকাতাতেও রমরমিয়ে ব্যবসা করেছে জোকার ২। জিগরা মুক্তির আগে বাংলা ছবির হাতে মাত্র ৩টে দিন। নিজেকে প্রমাণ করতে না পারলে তিনটি ছবিরই শো সংখ্যা কমবে আলিয়ার জাদুতে।
নিন্দকরা এর মাঝেই রব তুলেছে প্রজাপতি-র পর শাস্ত্রীও ফের জায়গা পেল না নন্দনে। বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী এই ছবির প্রধান মুখ বলেই নাকি সরকারি হল ফের মুখ ফিরিয়েছে এই ছবি থেকে। নন্দন কর্তৃপক্ষ এই নিয়ে মুখ খুলতে না-রাজ। যদিও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শাস্ত্রীর পরিচালক পথিকৃৎ বসু। আনন্দবাজার অনলাইনকে পরিচালক বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে বিনোদন দুনিয়ার সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে। তার পরেও নন্দন, রাধার মতো সরকারি প্রেক্ষাগৃহে নাকি জায়গা নেই মিঠুন চক্রবর্তীর! ভাবতে পারছি না।’
যদিও সত্যি কি তাই? শুধু শাস্ত্রী নয়, দুর্গাপুজোর কোনও ছবিই আপতত দেখানো হবে না নন্দনে। কারণ ষষ্ঠীর পর থেকে বন্ধ থাকবে নন্দনের দরজা। সরকারি হল বলেই পুজোর সময় বন্ধ থাকে নন্দন। আগামী দু-দিন সেখানে অপ্রকাশিত, বাবলি, পদাতিক, অযোগ্য, মানিকবাবুর মেঘে-র মতো বাংলা ছবিগুলির স্ক্রিনিং হবে।
একটা সময় তৃণমূলের সাংসদ ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। সময়ের সঙ্গে ‘রং বদলে’ এখন তিনি পদ্ম-শিবিরের নেতা। তবে টলিউডে কাজ করার ক্ষেত্রে তৃণমূল সাংসদ দেব কিংবা তৃণমূল বিধায়ক সোহমের সঙ্গে জুটি বাঁধতে কোনওদিন দ্বিধাবোধ করেননি মহাগুরু। শাস্ত্রী-র ঝলকে তাঁর অনবদ্য অভিনয় নজর কেড়েছে। ফের মিঠুন-ম্যাজিকের দিকে তাকিয়ে দর্শক।