আরজিকর কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সঞ্জয় রায়। সোমবার তাঁকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে নিম্ন আদালত। এরপরই নিজের X হ্য়ান্ডেলে আরজি করের ঘটনাকে ‘জঘন্য অপরাধ’ বলে লেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে দোষীর ফাঁসির নির্দাবিতে রাজ্য সরকার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর সুরে সুর মিলিয়েই সঞ্জয় রায়ের এই শাস্তি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিধায়ক-অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। ঠিক কী বলেছেন সোহম?
এই রায় নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে আনন্দবাজারকে সোহম বলেন, 'আদালতের এই রায় আমরা মেনে নিতে বাধ্য। তবেআমার মন ভরেনি। আরও অনেকের মতো আমিও চেয়েছিলাম, অপরাধীর চরমতম শাস্তি হোক। ফাঁসি-ই চেয়েছিলাম। তবে তা হল না।' পরে ফের সোহম বলেন, মহামান্য আদালত যা ঠিক মনে করেছে তা করেছে, তবে তারপরেও সোহম মনে করছেন কোথাও একটা ফাঁক থেকে গেল। বিধায়ক-অভিনেতার কথায়, এমন ঘৃণ্য মানসিকতা যাঁদের তাঁরা হয়ত এই রায় শুনে ভাববেন, যাক পার তো পেয়ে গেলাম, বাকি জীবনটা নাহয় হাজতেই কাটাব। এই শাস্তি আগামী দিনে অপরাধীদের মনে ভয় ধরাবে না বলে মনে করছেন বিধায়ক-প্রযোজক-অভিনেতা। তাঁর কথায়, ‘এই শাস্তি দৃষ্টান্ত স্থাপনে ব্যর্থ।’ এই ঘটনায় মানুষ যে দিনের পর দিন পথে নেমেছে সবই ব্যর্থ বলে মনে করছেন অভিনেতা। তাঁর একটাই প্রশ্ন, ‘দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি মিলল কই?’
আদালতের এই রায়ের পর নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করার উৎসাহও যেন পাচ্চেন না সোহম। তবে তাঁর আশ্বাস, তিনি তাঁদের পাশে ছিলেন ও থাকবেন। সোহম বলেন, তাঁর হাতে তো কিছু নেই! তবে এদিন CBI-এর তদন্ত নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ করেন বিধায়ক। তাঁর কথায়, আদালত তথ্য-প্রমাণের উপর ভিত্তি ককে সোহমকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। তবে তার পরেও বলব, এটা তো বোঝা যাচ্ছে যে সঞ্জয় একা দোষী নন। যাঁরা এই ঘটনায় ওঁর সঙ্গে ছিলেন, তাঁরা এই রায়ে এখনও আড়ালে চলে গেলেন বলেই মনে করছেন সোহম। প্রশ্ন তুলে সোহম বলেন, ‘ওই রাতে ঘটনাস্থলে শুধু সঞ্জয় আর নির্যাতিতা ছিলেন, এমনটা তো নয়! হয়ত শারীরিক নির্যাতন করেছেন সঞ্জয়, তবে এত কিছু হয়ে গেল, কোনও আওয়াজ কি হয়নি?’ তবে সোহমের কথায় সঞ্জয় দোষী হলে, তাঁর মৃত্যুদণ্ডই হওয়া উচিত ছিল। সেটা হল না।