শীতের রাতে খড়্গপুরের কিছু গৃহহীন মানুষকে 'উষ্ণতা' পৌঁছে দিলেন বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। শীতের কষ্ট কিছুটা লাঘব করতে তাঁদের হাতে তুলে দিলেন কম্বল। ২৫ ডিসেম্বর ছিল ‘ভারতরত্ন’ অটল বিহারী বাজপেয়ী-র জন্মবার্ষিকী। সেই কারণে এদিন খড়গপুরে ছিলেন না বিধায়ক। পরদিন শহরে পৌঁছেই একটু অন্যভাবে দিনটি পালন করলেন তিনি।
রবিবার রাত সাড়ে ১০টা-১১টা নাগাদ পৌঁছে গিয়েছিলেন খড়্গপুর স্টেশন এবং স্টেশন সংলগ্ন বিভিন্ন ফুটপাতগুলিতে। প্রচুর অসহায় মানুষ সেখান ঠান্ডার মধ্যে রাত কাটান। তাঁদের হাতে তুলে দিলেন একটুকরো ‘উষ্ণতা’। হিরণ বলেন, 'খড়্গপুর শহর যখন পাঁচ-পাঁচবার জলে ডুবে গিয়েছে, তখনও আপনারা দেখেছেন, আমি জলে দাঁড়িয়ে অসহায় মানুষকে ত্রাণ দিয়েছি। এদিনও, আমরা প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা এই দেশের 'গর্ব' ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ী-র জন্মদিবস উপলক্ষে এই অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ালাম।’
অসহায় মানুষেরা প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে কষ্টে রাত কাটাচ্ছেন। একথা স্বীকার করে বিধায়ক বলেন, ‘গতকাল ছিল তাঁর (অটল বিহারী বাজপেয়ী) জন্মদিন। তাঁকে স্মরণ করেই অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিই। আমি অনেক বার এই রাস্তা দিয়ে গিয়েছি। দেখেছি, ওঁরা কী রকম কষ্ট করে রাত কাটান! আর দিনের বেলা এলে ওঁদের আপনি দেখতে পাবেন না। তাই, রাতেই এসেছি। সাধ্যমতো পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি।’
রবিবার পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে দলের সাংসদ তথা সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ খড়্গপুর থেকে বিদায় নেওয়ার পরই শহরে পৌঁছেছেন বিধায়ক হিরণ। বিধায়ক-অভিনেতা জানিয়েছেন, ‘রাজনীতি রাজনীতির জায়গায় থাক। আমরা মানুষের পাশে থাকব। সে রাজনীতি থাক বা না থাক।’