কলকাতায় আরও এক মডেল-অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হল। শুক্রবার সকালে পাটুলির বাড়ি থেকে মঞ্জুষা নিয়োগীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, বিদিশা দে মজুমদারের মৃত্যুর পর থেকেই অবসাদে ভুগছিলেন মঞ্জুষা। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মঞ্জুষার পরিবারের দাবি, তিন-চারেক আগে পাটুলিতে বাবার বাড়িতে এসেছিলেন মডেল-অভিনেত্রী। তারইমধ্যে বুধবার বিদিশার মৃত্যুর খবর পান। তারপর থেকেই অবসাদে ভুগতে থাকেন। বছর তিন-চারেক ধরে তাঁরা বন্ধু ছিলেন। দু'জনে একইসঙ্গে অনেক কাজ করেছেন বলে দাবি পরিবারের। মঞ্জুষার মা জানিয়েছেন, বিদিশার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরই বলেছিলেন যে ‘আমিও বিদিশার মতো করব।’
পরিবারের দাবি, সেই মানসিক অবস্থার মধ্যেই বৃহস্পতিবার শুটিংয়ে যান মঞ্জুষা। বাড়ি ফিরে প্রিয় গলদা চিংড়িও খান। তারইমধ্যে স্বামীর সঙ্গে কিছুটা মনমালিন্য নয়। মঞ্জুষার মায়ের দাবি, মডেলিংয়ের জন্য ঠিকভাবে খাওয়া-দাওয়া করতেন না মেয়ে। তা নিয়ে বলতেন জামাই। বৃহস্পতিবার মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যেতে বলেছিলেন। কিন্তু মেয়ে যেতে চাননি। তখন মঞ্জুষা আত্মহত্যার কথা বলেছিলেন। সেজন্য মডেলকে বকাবকি করেছিলেন বলে দাবি মঞ্জুষার মায়ের। সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, স্বামীর সঙ্গে কোনও অশান্তি ছিল না মেয়ের।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মে সকালে দক্ষিণ শহরতলির গড়ফার আবাসন থেকে পল্লবী দে'র ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। তাঁর গলায় বিছানার চাদর জড়ানো ছিল। দরজা ভেঙে ঢুকে ‘আমি সিরাজের বেগম’-এর ‘লুৎফা’-র ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান বলে দাবি করেছিলেন পল্লবীর লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিক চক্রবর্তী। তবে তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে পল্লবীর পরিবার। তাঁকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: 'দুরারোগ্য অসুখ ছিল' বিদিশার? কী লেখা রয়েছে অভিনেত্রীর সুইসাইড নোটে?
সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বুধবার দমদমের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে বিদিশার দেহ। ময়নাতদন্তের জন্য আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে দেহ পাঠানো হয়। সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে খুনের কোনও প্রমাণ মেলেনি। পুলিশের তরফে অবশ্য সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। যদিও পরিবারের দাবি, বিদিশা আত্মহত্যা করতে পারেন না।
(হেল্পলাইন নম্বর : ওয়ালাইফ ফাউন্ডেশন - ৭৮৯৩০৭৮৯৩০)