দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে মহম্মদ শামি ও হাসিন জাহানের বিচ্ছেদের মামলা। আদালতে স্বামীর নামে বধূ নির্যাতন-সহ একাধিক মামলা করেছেন হাসিন। সঙ্গে শামির দাদার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মতো বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন হাসিন জাহান। সোশ্যাল মিডিয়ায় হামেশাই শামিকে নিয়ে বিষোদগার করতে দেখ যায় তাঁর বিচ্ছিন্না স্ত্রীকে।
প্রায় ৭ বছর ধরে এক ছাদের তলায় থাকেন না দুজনে। মেয়ে আইরাকে নিয়ে কলকাতাতেই থাকেন হাসিন। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্ক উস্কে দিতে সিদ্ধহস্ত এই সুন্দরী। তবে এবার শামি নয়, ইসলাম ধর্মে প্রচলিত হালালা প্রথা নিয়ে সরব হলেন হাসিন। সোমবার দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে উত্তরাখণ্ডে কার্যকর হয়েছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। যার আওতায় পুরুষ ও মহিলাদের জন্য সমান বিবাহযোগ্য বয়স, বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি এবং সমস্ত ধর্মের পদ্ধতি নির্ধারণ করবে এবং বহুবিবাহ ও 'হালালা' নিষিদ্ধ করবে।
সেইদিনই ‘হালালা’ প্রথা নিয়ে তাঁর ভিডিয়ো নিজের ইনস্টাগ্রামের দেওয়ালে ভাগ করে নেন হাসিন। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, এক বোরখা পরা মহিলা কোনও নথিতে স্বাক্ষর করতে গিয়ে উচ্চস্বরে কাঁদছেন। পাশে এক ব্যক্তি অন্যজনের হতে এক বান্ডিল টাকাও তুলে দিচ্ছেন। যা দেখে স্পষ্ট এটি কিন্তু ভারতের ভিডিয়ো নয়। ভিডিয়োর উপরে বড় বড় হরফে লেখা, ‘রসম-এ-হালালা’।
হাসিন সেই ভিডিয়োর ক্যাপশনে লেখেন, ‘সেই ধর্ম পালন করো, যেখানে মানবতা বেঁচে আছে। যেখানে মানবতাকে হত্যা করা হয়, সেই ধর্মপালনের কী প্রয়োজন? স্বচ্ছলভাবে বেঁচে থাকাই জীবন। ভয়ে কুঁকড়ে বেঁচে থাকা নরকের সমান। কোনও ধর্মই জীবনকে নরক করে দেওয়ার কথা বলে না। সব বোকার দল।’
নিকাহ হালালা কী?
ইসলামের একটি বিবাহ রীতি যাতে কোন মহিলা তিন তালাক প্রাপ্ত হয়ে অন্য পুরুষকে বিয়ে করে, বিবাহ সুসম্পূর্ণ করে পুনরায় বিবাহবিচ্ছেদ করে এবং তার আগের স্বামীর সাথে পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এই প্রথা নিয়ে বিতর্ক ও বিরোধ দীর্ঘদিন ধরে ভারতে চলে আসছে। ইসলামের প্রচলিত এই রীতিকে তুলোধনা করেই হাসিনের এই পোস্ট।
২০১৮ সালে শামির বিরুদ্ধে ‘বধূ নির্যাতন’-সহ একাধিক অভিযোগ এনে যাদবপুর থানায় এফআইআর দায়ের করেছিলেন হাসিন। দুজনের বিচ্ছেদ ও খোরপোষের মামলা আলিপুর আদালতে বিচারাধীন।
২০২৩ সালে গার্হস্থ্য হিংসার মামলায় আলিপুর আদলত হাসিনের পক্ষে রায় দিয়ে জানিয়েছিল, প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে স্ত্রীকে ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সাহায্য করতে হবে শামিকে। এর পাশাপাশি মেয়ের জন্য ৮০ হাজার টাকা দিতে হবে ভারতীয় তারকা পেসারকে। ২০১৮ সালে মামলা রুজু হয়, সুতরাং ওই বছর মার্চ মাস থেকে বকেয়া টাকা হাসিনকে মেটাতে হবে শামিকে। যদিও খোরপোষের এই অর্থতে খুশি ছিলেন না হাসিন।