বাঙালির ইতিহাসের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে সলিল চৌধুরীর লেখা গান- ‘পথে এবার নাম সাথী’। ক্যালক্যাটা ইয়ুথ কয়্যারের এই গান বাহাত্তরের জন আন্দোলনে প্রাণ দিয়েছিল। সলিলের প্রতিবাদের ভাষা আর প্রতিরোধের আগুন ঝলসে ওঠেছে এই গানে, তবে বিয়ের অনুষ্ঠানে এই গান? অন্তত সেটা বড্ড বেমানান ঠেকছে নেটিজেনদের কাছে।
শিক্ষক-ছাত্রীর প্রেমের প্রেক্ষাপটে তৈরি স্টার জলসার ধারাবাহিক মোহর। ইতিমধ্যেই মন্দিরে বিয়ের পর্ব সেরে ফেলেছেন দুজনে। তবে শঙ্খ স্যারের জেঠুমণির কথা মেনে নিজের প্রেম বলিদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল মোহর, গল্পে অবশ্য অনেক টুইস্ট এসেছে ইতিমধ্যেই। নিজেই নিজের বিয়ের আসরে কিছু না জেনে উপস্থিত মোহর। সে জানে শঙ্খ স্যারের সঙ্গে শ্রেষ্ঠা ম্যামের বিয়ে হচ্ছে। এই গোলকধাঁধা থেকে মোহরকে সহজে নিস্তার দিতে রাজি নয় কাহিনির হিরো। তাই এই হ-য-ব-র-ল বিয়ের অনুষ্ঠানে মনের ব্যাথায় কাহিল মোহর গান ধরল- ‘পথে এবার নামো সাথী’। হ্যাঁ, শঙ্খ স্যারের নাকি সবচেয়ে পছন্দের গান এটি, তাই মোহর এই গানই বেছে নিল বিয়ের সঙ্গীতের অনুষ্ঠানে। ঢাক-ঢোল নিয়ে সবাই যখন রেডি, তখন রোম্যান্টিক বা বিয়ের সেলিব্রেশনের গান ছেড়ে এই গণআন্দোলনের গান গাওয়ার টুইস্টে বেশ চমকে গেছে দর্শক তা বলতেই হয়।
অনেকেই মজা করে লিখছেন-'বিয়েও তো এক ধরনের আন্দোলন।পথে নামছে দুজনে পথ চিনবে'। কেউ আবার বলছে- ‘প্রথমে ভেবেছিলাম কোনও রাজনৈতিক দলের মিছিল, পরে বুঝলাম না মোহর আর শঙ্খ স্যারের বিয়ে’।
উল্লেখ্য, ২৪ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে মোহরের এই এপিসোড সম্প্রচারিত হয়েছে। তারপর থেকেই হইচই সোশ্যাল মিডিয়ায় জুড়ে। যদিও মোহর সিরিয়ালের ভক্তরা আপতত বেজায় খুশি কারণ বুধবারের এপিসোডে হাটে হাঁড়ি ভেঙে মোহরকে সত্যিটা বলে দিয়েছে শঙ্খ। অর্থাত্ এখন মোহর জানে শ্রেষ্ঠা নয়, ফের একবার মোহরের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসবে শঙ্খ। এই হ্যাপি এন্ডিংয়ের দিকেই তো তাকিয়ে ছিল তারা।
সোনামণি সাহা ও প্রতীক সেনের জুটির রসায়ন এই ধারাবাহিকের মূল ইউএসপি। টিআরপি তালিকায় গত সপ্তাহেও প্রথম স্থান দখল করেছে মোহর। তাই ট্রোলিং যতই ধেয়ে আসুক,দর্শকদের ভালোবাসাও অটুট রয়েছে তা বেশ স্পষ্ট।