ফুলকির রুদ্র সান্যাল দর্শকের চোখের বিষ। পর্দার এই খলনায়ক বাস্তব জীবনে কিন্তু আদ্যোপান্ত রোম্যান্টিক আর বউ-ভক্ত মানুষ। তাঁর স্ত্রীও টেলিপাড়ার অতি পরিচিত মুখ। অভিনেত্রী অনিন্দিতা রায়চৌধুরী। নতুন বছরেই দুই থেকে তিন হচ্ছেন এই তারকা দম্পতি। আরও পড়ুন-'যাঁকে ভালো লেগেছে…' চিরসখার সেটে প্রেম নিয়ে খোলামেলা সুদীপ! অপরাজিতাও জানালেন তাঁর ভালোবাসার কথা
২০২২ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসে দুই পরিবার ও কাছের বন্ধুদের নিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা। তিনদিন পরে দুজনের তৃতীয় বিবাহবার্ষিকী। আর তার দু-মাসের মধ্যেই অনিন্দিতার কোলে আসবে ফুটফুটে সন্তান। এখনও অভিনেত্রী চুটিয়ে শ্যুটিং করছেন ‘তেঁতুলপাতা’র।
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর খুব খেয়াল রাখলেন সুদীপও। শ্যুটিং সেটে বউকে ফুল পাঠিয়ে সারপ্রাইজ দিচ্ছেন আর মাঝেমধ্যে বউয়ের আবদার মেনে রিল ভিডিয়ো বানাচ্ছেন। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় বরের সঙ্গে মিষ্টি রিল ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন অনিন্দিতা। যদিও বরকে দিয়ে রিল ভিডিয়ো বানাতে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি তাঁকে।
অনিন্দিতা লেখেন, ‘কুমীর কাঁদতে চাইলে, সূর্য পশ্চিম দিকে উঠতে চাইলে আর দিনে একবার ও (আমি) ঝগড়া না করলে সুদীপ সরকার নিজে থেকে রিল বানাতে চায় !! তখন সেই চাওয়া কার্যকর করা আমার দায়িত্ব!!’
রিল ভিডিয়োয় আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা অনিন্দিতার দেখা মিলল বেবি বাম্প আগলে। বরকে সোহাগ করে চা বানিয়ে দিয়েছে বউ, পছন্দ না হওয়ায় পেটে গুঁতো মেরেও নিজের প্রশংসা আদায় করে নিলেন অনিন্দিতা। ফ্যানেরা চুটিয়ে এনজয় করল স্বামী-স্ত্রীর এই রসায়ন।
আরও পড়ুন-: মেডিক্লেমে পেয়েছেন ২৫ লাখ! বিতর্কের মাঝেই সফই-করিনাকে সাময়িক নিরাপত্তা দিল মুম্বই পুলিশ
যদিও সুদীপ-অনিন্দিতার গল্পের শুরুটা একদম অন্যরকম। বাস্তবে স্বামী-স্ত্রী হলেও পর্দায় প্রথমবার ভাই-বোনের চরিত্রে কাজ করেছিলেন তাঁরা। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিদি নম্বর ১-এ এসে অনিন্দিতা জানিয়েছিলেন রিল লাইফের ভাই-বোন থেকে স্বামী-স্ত্রী হওয়ার গল্প। অভিনেত্রী বলেছিলেন, 'গোয়েন্দা গিন্নিতে আমি আর সুদীপ একসঙ্গে কাজ করতাম। ওখানেই আমার দাদার চরিত্রে অভিনয় করেছিল। একটি দৃশ্যে দেখানো হয়েছিল আমি মারা গিয়েছি আর ও আমার ধরে কাঁদছে।' আর এতে রচনাও হেসে ফেলেছিলেন। হাসতে হাসতেই বলেছিলেন, ‘বোন রে বলতে বলতে একেবারে বউ বানিয়ে ফেলল’!
চলতি বছরের প্রথম দিন অনিন্দিতা মা হওয়ার সুখবর প্রকাশ্যে আনেন। মিষ্টি পোস্টে দেখা মেলে তাঁদের দুই চারপেয়ে সন্তানের। মাঝখানে এক দোলনায় ছোট্ট শিশুর হাত। লেখা রয়েছে, ‘দেখা হচ্ছে বন্ধুরা মার্চ ২০২৫’-এ।