ফিয়ার এক অক্ষরের একটা শব্দ, কিন্তু এই ইংরাজি শব্দের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে বিরাট অভিঘাত। ভয়ের অর্থ প্রত্যেক মানুষের কাছে ভিন্ন, কারুর কাছে কিছু পাওয়ার ভয়, কেউ হারিয়ে ফেলার ভয় সারাক্ষণ কাঁটা হয়ে থাকেন। হবু মা নুসরতের কাছে ভয়ের ঠিক কী মানে? সেই ইঙ্গিত সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট দিলেন অভিনেত্রী। ভয়ের দুটো অর্থ নিয়ে দ্বিধায় ভুগছেন অন্তঃসত্ত্বা নুসরত, সেই দ্বন্দ্বের কথাই তুলে ধরলেন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে।
ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে নুসরত লিখেছেন, ফিয়ার শব্দের দুটো অর্থ। এক, ফরগেট এভরিথিং অ্যান্ড রান। অর্থাৎ সব কিছু ভুলে দৌড়তে থাকো। দুই, ফেস এভরিথিং অ্যান্ড রাইজ। অর্থাৎ সব কিছুর মুখোমুখি হও এবং উন্নতি করো।

জীবনের এক বিশেষ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন নুসরত, মাতৃত্বের স্বাদ লুটেপুটে নিচ্ছেন অভিনেত্রী যা স্পষ্ট। আগামী মাসেই সন্তানের জন্ম দেবেন নুসরত, আপতত রয়েছেন প্রেগন্যান্সির তৃতীয় পর্যায়ে। তাঁকে ঘিরে বিতর্কের শেষ নেই। কিন্তু নুসরতের সাহসকিতাকে অনেকেই কুর্নিশ জানাচ্ছেন। নিখিল জৈনের সঙ্গে সম্পর্ককে সহবাসের নাম দিয়েছেন, নিজের হবু সন্তানের পিতার নামও জানাননি সিঙ্গল নুসরত জাহান। স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না।
চলতি সপ্তাহেই বিতর্ককে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বৃষ্টিভেজা রাজপথে যশের হাত ধরে বেরিয়ে পড়েছিলেন নুসরত। কোনও লুকোচুরি নয়, প্রকাশ্যেই যেন যশের সঙ্গে নিজের সম্পর্কে শিলমোহর দিয়ে দিলেন। পার্কস্ট্রিটে 'যশরত'-এর ছবি, ভিডিয়ো হু হু করে ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে।
নুসরতের প্রেগন্যান্সির খবর সামনে আসার পরেই নিখিল খোলাখুলি জানিয়েছিলেন, এই সন্তানের বাবা তিনি নন। এমনকী, স্পষ্ট করে দেন শেষ কবে তিনি নুসরতের সঙ্গে ‘সহবাস’ করেছিলেন। আপাতত নুসরত উপভোগ করছেন মাদারহুডের এই আগের জার্নিটা। পাশে রয়েছেন বর্তমানের লিভ ইন পার্টনার যশ।