Exclusive:২০১৭ সালেই বিয়ে হয়ে গেছে মোনালি ঠাকুরের! এতদিন আড়ালেই রেখেছিলেন খবর

সারেগামাপা'র বিচারক তথা বাঙালি গায়িকা মোনালি ঠাকুর তিন বছর আগেই বিয়ে সেরে নিয়েছেন তাঁর জার্মান প্রেমিক মাইকের সঙ্গে,এতদিনে ফাঁস হল সেই গোপন খবর।

তিন বছর আগেই মাইকের সঙ্গে বিয়ে সেরে নিয়েছেন মোনালি ঠাকুর (ছবি-ইনস্টাগ্রাম)

মোনালি ঠাকুর ও তাঁর জার্মান বয়ফ্রেন্ড মাইকের প্রেম সম্পর্কের কথা তো কারুরই অজানা নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় হামেশাই রোম্যান্টিক ছবি শেয়ার করে থাকেন মোনালি ঠাকুর। তবে মাইক মোনালি বয়ফ্রেন্ড নন, স্বামী! তিন বছর আগেই বিয়ের পর্ব সেরে ফেলেছেন তাঁরা। কিন্তু এতদিন সেই খবর চেপে রেখেছিলেন এই বাঙালি গায়িকা। অবশেষে ফাঁস করলেন সেই তথ্য। হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে এই চাঞ্চল্যকর সত্যিটা বলেই ফেললেন মোনালি।  তিনি বলেন,'হ্যাঁ, আমার বিয়ে হয়ে গিয়েছে মাইক রিচটেরের সঙ্গে,তাও তিন বছর আগে। আসলে আমরা কোনদিনও আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের ঘোষণাটা সারিনি,আসলে তেমন কোনও অনুষ্ঠান করে বিয়ে হয়নি। শুধু কাছের বন্ধু আর পরিবারের উপস্থিতিতেই আমরা বিয়েটা সেরেছি,জানালেন ৩৪ বছর বয়সী এই গায়িকা। 

মোনালি-মাইকের প্রেমের গল্প (ছবি-ইনস্টাগ্রাম)

 

মোনালি হাসতে হাসতে যোগ করেন, ও ভেবেছিল এখানে আসার পর ও ভিসা পাবে,কারণ ইন্টারনেটে কোথাউ এইরকমই ও পড়েছিল। ওকে তো প্রায় দেশ থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছিল।যেদিন আমাদের বিয়েছিল ওকে তো এয়ারপোর্টে আসামিদের মতো আটকে রেখেছিল'। তবে ভারত সরকারের তরফে প্রচুর সাহায্য পেয়েছেন মোনালি,জানাতে ভুললেন না। সব বাধা পেরিয়ে নির্দিষ্ট দিনেই বিয়ে হয় মোনালি ও মাইকের।

 

বিয়ের একবছর আগে ২০১৬ সালে শুরু মোনালি-মাইকের প্রেম কাহিনি। সেই বছর ক্রিসমাসের দিন বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন মোনালি। তিনি বলেন, ‘আমাকে মাইনাস দশ ডিগ্রী ঠান্ডার মধ্যে বাইরে নিয়ে এল,তারপর সেই গাছের নীচে নিয়ে গেল, যেখানে আমাদের প্রথম দেখা হয়,দারুণ রোম্যান্টিক আর কি। তবে প্রচুর ঠান্ডা ছিল,এত কাঁপছিলাম যে বাধ্য হয়েই হ্যাঁ, বলে দিয়েছিলাম। উপায় ছিল না’।

এই জাতীয় পুরস্কার জয়ী গায়িকার স্বামী এবার আর ব্যক্তিগত জীবনে নয় রিল লাইফেও তাঁর হিরো হিসাবে ধরা দিলেন। মোনালির নতুন সিঙ্গল ‘দিল কা ফিতুর’ এ একসঙ্গে দেখা গেল মোনালি-মাইকে। তাঁদের অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি রীতিমতো ঈর্ষনীয়! এই প্রসঙ্গে মোনালি জানান, প্রথমে একজন জার্মান মডেলের আমার সঙ্গে কাজ করবার কথা ছিল, কিন্তু আমার টিম পরামর্শ দিল হয়ত রসায়নটা ততটা জমবে না। তাই আমি মাইকে জিজ্ঞাসা করলাম আর দেখলাম ও রাজি হয়ে গেল। ভালোই হল আমার পয়সা বেঁচে গেল'। হাসিতে ফেটে পড়লেন মোনালি ঠাকুর।