২০২০ সালের দীপাবলির সময় অভিনেত্রী মনিকা চৌধুরীর কাছে কাস্টিং ডিরেক্টর ভিকি সিদানার তরফে একটি ফোন আসে, এবং তাঁকে জানানো হয় তিনি তু ঝুঠি ম্যায় মক্কার ছবিতে কিঞ্চির চরিত্রটি পেয়েছেন। অর্থাৎ তিনি এই ছবিতে শ্রদ্ধা কাপুরের প্রিয় বন্ধু এবং অনুভব সিং বাস্সির বউয়ের চরিত্রে থাকবেন। এখানে শ্রদ্ধা কাপুরের চরিত্রের নাম তিন্নি এবং অনুভবের চরিত্রের নাম মানু দাব্বাস। মিড ডে-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, ‘আমার চরিত্রের নাম কিঞ্চি। এই চরিত্রটি ভীষণ খিটখিটে। সে সবসময় কোনও না কোনও কারণে দাব্বাসকে বকতে থাকেন। বাদ দেন না তিন্নি, মিকিকেও ( রণবীর কাপুর)।’
ছবিতে মনিকার চরিত্রটিকে গর্ভবতী হয়ে পড়তে দেখা যায়। আর শো মি দ্য ঠুমকা গানে তাঁর গর্ভাবস্থার ৯ মাস দেখানো হয়। এই গানের শ্যুটিংয়ের বিষয় বলতে গিয়ে তিনি বলেন, 'সে এক দারুন মজার অভিজ্ঞতা ছিল। আমায় তখন ৯ মাসের গর্ভবতী দেখানো হচ্ছে। আর আমি এদিকে ওজন কমিয়ে ফেলেছি কারণ সামনেই স্পেনের শিডিউল ছিল। এরপর ওরা আমার গায়ে একটি সিলিকনের ভুঁড়ি লাগিয়ে দিয়েছিল। তাতেও আমার পেট বোঝা যাচ্ছিল না। তারপর আরও একটা লাগানো হয়, তাতেও আমায় ৯ মাসের গর্ভবতী মনে হচ্ছিল না। এরপর আমার গায়ে ৩টি সিলিকনের পেট লাগানো হয়। কিন্তু সেগুলো এত ভারী ছিল। তার মধ্যে আমরা পুরো রোদের মধ্যে শ্যুটিং করছিলাম। পর্দায় যতই ভালো লাগুক না দেখতে। আদতে কাজ করতে ভীষণ কষ্ট হয়েছিল।'
তু ঝুঠি ম্যায় মক্কার ছবিটিই তাঁর প্রথম ফিচার ছবি ছিল। তিনি রণবীর কাপুর, শ্রদ্ধা কাপুরের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে এক ছবিতে স্ক্রিন ভাগ করেছিলেন। এই ছবির সেটে হওয়া অভিজ্ঞতার বিষয় কথা বলতে গিয়ে মনিকা বলেন, 'এই ছবিতে আমার সেরা অভিজ্ঞতা ছিল আমি যখন একবার আমার ভ্যানিটি ভ্যানে ফিরে এসেছিল, একটা বড় ব্যাগ পেয়েছিলাম। আমি যখন সেই ব্যাগ খুলি তখন তার মধ্যে একাধিক ছোট ছোট উপহার ছিল। সঙ্গে একটা হাতে লেখা চিঠি। এই উপহার শ্রদ্ধা কাপুর দিয়েছিলেন। উনি ভীষণ মিষ্টি। এই উপহার আমি আমার টিমের সঙ্গে প্রথম শিডিউলের পর পেয়েছিলেন। আমি খুব ভয় পাচ্ছিলাম, নার্ভাস হয়ে যাচ্ছিলাম। আমাকে কম্ফর্টেবল ফিল করানোর জন্য উনি আমায় এই উপহার দিয়েছিলেন।'
মনিকা জানান লাভ রঞ্জন ফিল্মসে কাজ করতে পেরে তিনি অনেক কিছু শিখেছেন। এই ছবিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমার মনে হয় লাভ রঞ্জন স্যারের সঙ্গে কাজ করলে বোঝা যায় কেন আর কীভাবে তিনি এতগুলো হিট ছবি উপহার দিয়েছেন। উনি জানেন উনি কী বানাচ্ছেন। ভীষণই ট্যালেন্টেড, এবং ভালো লেখক উনি। তিনি জানেন কীভাবে, কোন টোনে প্রতিটা ডায়লগ বলতে হবে।'