বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Taarak Mehta Ka Ooltah Chashmah: 'ওঁরা মানসিক নির্যাতন করতেন, মনে হত নিজেকে শেষ করে দিই', বিস্ফোরক TMKOC-র বাউরি

Taarak Mehta Ka Ooltah Chashmah: 'ওঁরা মানসিক নির্যাতন করতেন, মনে হত নিজেকে শেষ করে দিই', বিস্ফোরক TMKOC-র বাউরি

মণিকা ভাদোরিয়া

মণিকা বলেন, ‘সেসময় আমি আমার হাসপাতালে রাত কাটত, এদিকে আবার খুব ভোরে শ্যুটিংয়ের জন্য আমায় ডাকা হত। আমি যখন বলেছি, আমার মানসিক অবস্থা ঠিক নেই, তারপরেও ওরা আমায় শ্যুটিংয়ে যেতে বাধ্য করেছে।সবথেকে খারাপ বিষয় হল, শুটিং সেটে পৌঁছেও আমাকে কিন্তু বসিয়েই রাখা হত।’

'তারক মেহতা কা উল্টা চশমা'র নির্মাতাদের বিরুদ্ধে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন অভিনেত্রী মণিকা ভাদোরিয়া। অভিযোগ ওই শোয়ে কাজ করার সময় নির্মাতারা একপ্রকার তাঁর উপর নির্যাতন চালিয়েছেন। তিন মাসের বকেয়া টাকাও তাঁকে দেওয়া হয়নি যা একবছরে হয় প্রায় ৩-৪ লক্ষ টাকা।

'তারক মেহতা কা উল্টা চশমা' (TMKOC) তে মণিকা ভাদোরিয়া বগার প্রেমিক বাউরির ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে এর আগে এই শো নিয়ে কথা বলার সময় মণিকা এই শোকে ‘নরক’ বলে তকমা দেন। তার উপর সেসময় তাঁর মায়ের ক্যানসারের চিকিৎসা চলছিল। মণিকা বলেন, ‘সেসময় আমার হাসপাতালে রাত কাটত, এদিকে আবার খুব ভোরে শ্যুটিংয়ের জন্য আমায় ডাকা হত। আমি যখন বলেছি, আমার মানসিক অবস্থা ঠিক নেই, তারপরেও ওঁরা আমায় শ্যুটিংয়ে যেতে বাধ্য করেছে।সবথেকে খারাপ বিষয় হল, শুটিং সেটে পৌঁছেও আমাকে কিন্তু বসিয়েই রাখা হত।’

আরও পড়ুন-বিদায়! ‘উনি আর ফিরবেন না…’ শেষকৃত্যে চোখের জল বাঁধ মানল না ‘শকুনি মামা’র ভাই ও ভাইপোদের

মানসিকভাবে বিপর্যস্ত মণিকার মাথায় সেসময় আত্মহত্যার চিন্তাও এসেছিল বলে সম্প্রতি পিঙ্কভিলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান। তাঁর কথায়, 'আমি পারিবারিক দিক দিয়ে খুব খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আমি আমার মা ও ঠাকুমাকে হারাই। ওঁরা দুজনই ছিল আমার জীবনের স্তম্ভ, ওঁরা আমাকে খুব সুন্দরভাবে বড় করেছেন। আমি ওঁদের মৃত্যু সামাল দিতে পারিনি, ভেবেছিলাম আমার জীবনটাই শেষ। আর সেসময় আমি তারক মেহতা কা উল্টা চশমা-শোয়ে কাজ করছিলাম, যেটা ছিল একপ্রকার মানসিক নির্যাতন। তাই সবকিছু মিলিয়েই আমার মনে আত্মহত্যার চিন্তা এসেছিল। ওঁরা (TMKOC নির্মাতারা) দাবি করেছেন, আমার বাবা মারা যাওয়ার পর আমায় টাকা দিয়েছেন। আমার অসুস্থ মায়ের চিকিৎসার জন্য টাকা দিয়েছেন। এই কথাগুলো আমাকে আঘাত করেছিল।'

মণিকার কথায়, ‘যেমন ব্যবহার আমার সঙ্গে করা হচ্ছিল, আমি ভেবেছিলাম শোটাই ছেড়ে দেব। একসময় আমার বাবা-মাকে শোয়ের সেটে নিয়ে আসার খুব ইচ্ছা ছিল, কিন্তু সেটের পরিবেশ দেখে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে না ওঁদের ওখানে নিয়ে যাব না। তবে যখন মা অসুস্থ হলেন, মায়ের শেষ দিনগুলিতে আমি ভেবেছিলাম একবার সেটে নিয়ে যাই, আমি যেখানে কাজ করি একবার দেখাই। তবে তখন এটা সম্ভব ছিল না।’ তাঁর কথায়, ‘টাকা প্রয়োজনীয় কিন্তু তা আত্মসম্মানের থেকে বেশি নয়।’

(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)

 

বন্ধ করুন