মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় সম্প্রতি তাঁর কেরিয়ারের বিষয়ে একটি সাক্ষাৎকারে জানালেন নানা অজানা কথা। এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রীকে শেষবার পিকু ছবিতে দেখা গিয়েছিল। সুজিত সরকারের এই ছবিটি ২০১৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল। অভিনেত্রী তাঁর কেরিয়ারের বিষয়ে বলতে গিয়ে জানান গুলজার পরিচালিত ছবি কোশিশের জন্য তিনি ৩ দিন শুট করেছিলেন। তারপর তাঁকে বদলে জয়া বচ্চনকে তাঁর জায়গায় নেওয়া হয়। এই ছবিটি ১৯৭২ সালে মুক্তি পেয়েছিল।
একটি পোর্টালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন তিনি অভিনয় থেকে সাময়িক বিরতি নিয়েছিলেন। কারণ তিনি তাঁর ব্যক্তিগত জীবনকে নষ্ট করতে চাননি। কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনকে মিশিয়ে ফেলতে চাননি। এই কারণে নাকি তাঁকে একাধিক ছবি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
তিনি অতীতের স্মৃতিচারণা করে বলেন, তিনি তিনদিন কোশিশ ছবিটার শ্যুটিং করেছিলেন। কিন্তু সেখানেই তিনি ম্যানিপুলেশন কীভাবে হয়, কতটা হয় টের পেয়েছিলেন। তিনি জানান শ্যুটিং চলাকালীন দিন থেকে রাত জয়ার ম্যানেজারকে অফিসে পড়ে থাকতে দেখেছেন। তারপর হঠাতই গুলজার তাঁকে পরদিন থেকে একটু রাত করে শ্যুটিংয়ে আসতে বলেন। তিনি জানান যে তাঁর বাড়িতে সন্তান আছে। ছোট্ট শিশু বাড়িতে থাকার জন্য তিনি একটাই শিফটে কাজ করতে পারবেন। তখন নাকি গুলজার সবার সামনে তাঁকে বলেছিলেন, 'আশা করি তুমি জানো বহু অভিনেত্রী লাইনে আছেন যাঁরা এই জায়গাটা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত।'
গুলজারের এই বক্তব্য তাঁর ভীষণ গায়ে লাগে। উত্তরে অভিনেত্রী তাঁকে সাফ জানিয়ে দেন, 'তাহলে তাঁদেরকেই নিন।' এরপর যদিও গুলজার তাঁর শ্বশুর অর্থাৎ বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক হেমন্ত কুমারের কাছে যান এবং অনুরোধ করেন তাঁকে বোঝানোর জন্য যাতে তিনি এভাবে ছবিটা না ছেড়ে দেন। তখন তিনি জানিয়ে দেন 'ওকে যেতে দাও।'
কোশিশ ছবিতে উঠে এসেছিল মূক এবং বধির এক জুটির গল্প। মূল চরিত্রে সঞ্জীব কুমার এবং জয়া বচ্চনকে দেখা গিয়েছিল। এই ছবিটা দুটো জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিল। প্রথমটা সেরা চিত্রনাট্যের জন্য গুলজার পেয়েছিলেন এবং সেরা অভিনেতা হিসেবে সঞ্জীব কুমার পেয়েছিলেন।