পুজোর আগে আরজি কর-ঘটনার উপর ভিত্তি করে সিনেমা তৈরি হওয়া নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। তবে এবার দেখা গেল, বিরোধের আগুন থিতিয়ে আসতেই, খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবন এসেযাচ্ছে রুপোলি পর্দাতে। মুক্তি পাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প ‘কন্যাশ্রী’ নিয়ে নির্মিত ছবি ‘সুকন্যা’। শুক্রবার, ২২ নভেম্বর এই সিনেমার মুক্তি। ছবি পরিচালনা করেছেন উজ্জ্বল মিত্র, ও প্রযোজনা সমীর মণ্ডলের।
এই ছবিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্রে যে কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন, তা আজ কারওরই অজানা নয়। জানা যাচ্ছ, বিরোধী নেত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ওঠার মমতার যে যাত্রাপথ, তা উঠে আসবে এই সিনেমায়। এছাড়াও অভিনয় করেছেন খরাজ মুখোপাধ্যায়, দেবশঙ্কর নাগের মতো তারকারা। এই ছবিতে দেখা যাবে রাজ্যসভার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনকে। এমনকী একটি চরিত্রে দেখা যাবে রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকেও।
আরও পড়ুন: ‘কোনো মহিলা বা মেয়ে যখন…’! বলিউডের কাস্টিং কাউচ নিয়ে কী দাবি ইমতিয়াজ আলির
প্রসঙ্গত, শান্তনু সেন কিন্তু আরজি কর কাণ্ডের পর উঠে এসেছিলেন চর্চায়। কারণ তিনি ঘটনায় দলের বিরুদ্ধে গিয়ে সেইসময় মুখ খুলেছিলেন। সন্দীপ ঘোষের শাস্তির দাবি তো তোলেনই, সঙ্গে আরজি করের রোগীকল্যাণ সমিতির প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা নিজের দলের বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের খুল্লামখুল্লা সমালোচনা করেন। যার ফলে সেই সময় তাঁকে দলর মুখপাত্রর পদ থেকে সরিয়েও দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ১০ বছরের মেয়ের জন্য পাত্র চান হাসিন! ‘যারা আমার বাচ্চার ভালো চাইবে না…’, নিশানায় কি মহম্মদ শামি
পরিচালক উজ্জ্বল জানিয়েছেন সুকন্যা ছবিতে ‘নারীদের অধিকার এবং নারী ক্ষমতায়ন’-কে তুলে ধরা হয়েছে। আসলে এই ছবির মুক্তির প্রাথমিক দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়েছিল ৩০ অগস্ট। ছবির শ্যুট হয়েছিল শেষ সেই ২০২৩ সালেই। তবে আরজি কর নিয়ে গোটা বাংলা যখন উত্তাল, তখন এমন একটি সিনেমাকে পর্দায় আনার মতো সাহস দেখাননি কউই। এখন আরজি কর নিয়ে বিরোধ অনেকটাই কমেছে। তাই এবার সুকন্যাও মুক্তির জন্য প্রস্তুত।
জানা গিয়েছে, একা মা ও তাঁর মেয়েকে নিয়ে গল্প এগোবে এই সিনেমাতে। কীভাবে তার জীবনকে পুরোপুরি বদলে দেয় বর্তমানে রাজ্য সরকার তৃণমূল কংগ্রেসের কন্যাশ্রী প্রকল্প। সেই বাচ্চা মেয়েটির আইপিএস অফিসার হয়ে ওঠা দেখানো হবে।
কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় আরজি করের ঘটনায় শাসক দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। তবে বর্তমানে তাঁকে মমতার ভূমিকায় অভিনয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি স্পষ্ট করেন, তাঁর চরিত্রের নাম মায়া চট্টোপাধ্যায়। যার একজন সাধারণ নেত্রী থেকে জননেত্রী হওয়ার গল্প দেখানো হয়েছে। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো পোশাক ছাড়া আর কোনো মিলই রাখা হয়নি। তিনি আজকালকে বলেন, ‘মেয়েদের জন্য ভাবা, মেয়েদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দিকগুলো নিয়ে যখন ছবি তৈরি হয়েছে আর মুখ্য চরিত্রে আমায় ভাবা হয়েছে, তখন এই সুযোগটা হাতছাড়া করতে পারিনি।’