আইনি বিপাকে করিনা কাপুর খান। সৌজন্যে তাঁর নিজের লেখা বই। দ্বিতীয়বার অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন, গর্ভাবস্থার নানান কিছু নিয়ে বই লিখেছিলেন করিনা। যে বইয়ের নাম রাখেন, ‘করিনা কাপুর খান'স প্রেগন্যান্সি বাইবেল’। আর এই বইয়ের কারণেই এই মুহূর্তে আইনি সমস্যায় জড়িয়েছেন সইফের ‘বেগম’।
নিজের বইয়ের নামের সঙ্গে 'বাইবেল' শব্দটি জুড়ে দেওয়ার কারণেই এই সমস্যায় পড়েছেন বেবো। নিজের বইয়ের এই নামকরণের জন্য করিনার বিরুদ্ধে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে একটি মামলা। যে কারণে আদালতের তরফে অভিনেত্রীর কাছে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, অ্যাডভোকেট ক্রিস্টোফার অ্যান্থনির দায়ের করা একটি আবেদনের ভিত্তিতে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের বিচারপতি গুরুপাল সিং আলুওয়ালিয়া এই নোটিশ জারি করেছেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে অতিরিক্ত দায়রা আদালতে মামলাটি নথিভুক্ত করার আবেদন করা হয়েছিল। তবে সেসময় আদালত ক্রিস্টোফার অ্যান্থনির সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। আদালতের সেই আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে এই মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী ক্রিস্টোফার অ্যান্থনি। তাঁর সেই আবেদনের ভিত্তিতেই করিনাকে আইনি চিঠি পাঠিয়েছে আদালত। জানা যাচ্ছে, গত ৯ মে এই আদালতের তরফে এই নোটিশ জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-বিয়ে করেননি, তবে মা হয়েছিলেন, এবার একতা কাপুরের কোলে আসছে দ্বিতীয় সন্তান?
আরও পড়ুন-মুম্বইয়ের বিলাসবহুল বাড়িতে শৈল্পিক নান্দনিকতার ছোঁয়া, সেখানেই গরুও পুষেছেন বিবেক
জানা যাচ্ছে, আইনজীবী ক্রিস্টোফার অ্যান্থনি প্রাথমিকভাবে জব্বলপুরের এক স্থানীয় থানায় করিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ গর্ভাবস্থার সঙ্গে 'পবিত্র গ্রন্থ বাইবেল'-এর তুলনা করার কারণে এটা খ্রিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করেছে। তবে প্রথমিক ভাবে পুলিশ এই মামলা নিতে অস্বীকার করলে, ওই আইনজীবী ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে যান এবং ব্যক্তিগতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন।
ম্যাজিস্ট্রেটও এই কারণে আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিলেন যে অভিযোগকারী কীভাবে 'বাইবেল' শব্দের ব্যবহার খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অনুভূতিতে আঘাত করেছে তা প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে সেসময় অতিরিক্ত দায়রা আদালত ক্রিস্টোফার অ্যান্থনির এই আবেদন খারিজ করে দেয়। আদালতের তরফে সেসময় জানানো হয়েছিল, 'বাইবেল' শব্দের ব্যবহার কীভাবে খ্রিস্ট সম্প্রদায়ের মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করতে পারে, আবেদনকারী সেকথা প্রতিষ্ঠিা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই সেসময় মামলাটি খারিজ হয়ে গিয়েছিল। তবে এবার এই একই মামলা হাইকোর্টে পৌঁছেছে। এই মামলায় মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের পক্ষে ছিলেন প্যানেল আইনজীবী দিলীপ পরিহার।