বিরোধী দলের নেতা মল্লিকার্জুন খার্গের বিরুদ্ধে বিজেপি সাংসদ ঘনশ্যাম তিওয়ারির মন্তব্য নিয়ে উত্তপ্ত শব্দ বিনিময়ের পরে শুক্রবার সমাজবাদী পার্টির এমপি জয়া বচ্চন ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং রাজ্য সভার চেয়ারম্যা জগদীপ ধনকরের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
‘আমার ওঁর কথা বলার সুরে খারাপ লেগেছে। আমরা কেউ স্কুলে যাওয়া বাচ্চা নই। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ সিনিয়র সিটিজেন। আমার ওঁর গলার সুর খারাপ লেগেছে। আর যখন বিরোধী দলনেতা কথা বলতে উঠেছিল, ওঁরমাইক বন্ধ করে দেওয়া বেশি বিরক্তিকর।’, বলেন জয়া বচ্চন।
সমাজবাদী পার্টির সাংসদ আরও বলেন, ‘আপনি এটা কীভাবে করতে পারেন? আপনাকে বিরোধীদলীয় নেতাকে কথা বলার অনুমতি দিতে হবে... আর অসংসদীয় কথার ব্যবহার, যা আমি সবার সামনে বলতে চাই না। বুদ্ধিহীনের মতো শব্দ ব্যবহার করেন।’
‘তিনি বলেছিলেন আপনি একজন সেলিব্রেটি হতে পারেন, আমি পাত্তা দিই না। কে বলেছে তাঁকে পাত্তা দিতে। আমি শুধু বলতে চাই, আমিও একজন সংসদ। এটা আমার পঞ্চমবার। আমি জানি আমি কী বলছি। এখন যেভাবে পার্লামেন্টে কথা বলা হচ্ছে, তা আগে হয়নি। আমি চাই উনি ক্ষমা চান।’
শিবসেনা (ইউবিটি) সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী বলেন, ‘তিনি (সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চন) ভাইস প্রেসিডেন্টের চেয়ে অনেক বেশি অভিজ্ঞ। তিনি একজন সাংসদকে অপমান করতে পারেন না।’
তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন জানান, ‘তিনি (এসপি সাংসদ জয়া বচ্চন) এখানে সেলিব্রিটি হিসেবে আসেননি, তিনি এখানে একজন নির্বাচিত সংসদ হিসেবে এসেছেন।’
প্রসঙ্গত, বঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে এর আগে এরকমই শব্দ বিনিময়ে জড়িয়েছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রকাশ্যে মতবিরোধে জড়িয়েছিলেন। এবার রাজ্যসভার অন্দরে সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চনের সঙ্গে ঝামেলা বাঁধল জগদীপ ধনকরের।
এদিন রাজ্যসভার অধিবেশনে ধনখড় বিরোধীদের দিকে আঙুল তুলে অভিযোগ করলেন তাঁরা সংবিধান ও গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। তারপর তিনি জয়া বচ্চনকে নিজের বক্তব্য পেশ করতে বলেন। এতে উঠে দাঁড়িয়ে বচ্চন-পত্নী বলেন, ‘যে ভাষায় আমাদের সঙ্গে কথা বলছেন আপনি, তা অপমানজনক। আমি একজন শিল্পী, বাচন ভঙ্গি বুঝতে পারি, শরীরের ভাষাও বুঝতে পারি।’ এতে জগদীপ পালটা থামিয়ে দিয়ে জয়াকে বলে ওঠেন, ‘আপনি নিজের চেয়ারে বসুন। আপনার খ্যাতি অনেক। আপনি তারকা হতে পারেন তবে আপনাকেও ডেকোরাম বুঝতে হবে।’
এরপরই বিবাচ চরমে ওঠে। জয়া বচ্চনের সমর্থনে রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বিরোধীরা। সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে রাজ্যসভা থেকে বিরোধীদের ওয়াকআউট করতে দেখা যায়। তারপর তাঁরা মুখ খোলেন মিডিয়ার সামনে।