নুসরত জাহানের সঙ্গে যশ দাশগুপ্তর ঘনিষ্ঠতার খবর গত কয়েক দিন ধরেই রয়েছে চর্চার শিরোনামে। নুসরত-নিখিলের ভাঙা সংসারের মাঝে ঢুকে পড়েছেন যশ, সেই গুঞ্জন ঘুরে বেড়িয়েছে টলিউডের অলিতেগলিতে। তবে আচমকাই বিরাট পালাবদল। মঙ্গলবার সকাল থেকেই রটে যায় বিজেপিতে যোগদান করছেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদের বিশেষ বন্ধু যশ দাশগুপ্ত। বিকালবেলাতেই ছবিটা পরিষ্কার হয়ে গেল। শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিলেন যশ দাশগুপ্ত। যশ-নুসরতের সম্পর্কের সমীকরণ স্পষ্ট হবার আগেই তাতে লেগেগেল রাজনীতির রঙ।
রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত ছিলেন যশ। কিন্তু আচমকাই দলবদল। তবে নিজের অবস্থান থেকে নড়লেন না নুসরত। তিনি কিন্তু যশের বিজেপিতে যোগদানের দিনে ‘দিদির দূত’ হয়ে নির্বাচনী প্রচারের কাজ সারলেন। একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপিতে আটকাতে তৃণমূলের নয়া দাওয়াই ‘দিদির দূত’। আর এই অ্যাপের প্রচারে নেমেছেন নুসরত জাহান। বুধবার নিজের এলাকাতেই প্রচার সভায় অংশ নেন নুসরত।
টুইটারে সেই ছবি টুইটারের দেওয়ালে পোস্ট করে নুসরত লেখেন, ‘বলছে বাংলার জনতা, এবার আবার মমতা’। সঙ্গে হ্যাশট্যাগে জুড়ে দেন #দিদিরদূত #ভোটফরটিএমসি। তারকা সাংসদের প্রচার সভায় উপড়ে পড়ল ভিড়, জনসংযোগ বাড়াতে ততপর টিএমসির তুরুপের তাস নুসরত-মিমিরা।
পাশাপাশি এইদিনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নারী নিরপাত্তা নিয়ে আক্রমণ করায় টুইটে পালটা দিলীপ ঘোষকে বিঁধেছেন বসিরহাটের সাংসদ। যশের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ঘন্টাখানেক আগে নুসরত লেখেন, ‘আমাদের ছেলেরা ঠিক কাজই করেছে। ওই মহিলার ভাগ্য ভাল। হেনস্থা ছাড়া তাঁকে আর কিছু করা হয়নি। প্রতিবাদ করলেই মহিলাদের এভাবে চরিত্রহনন করে বিজেপি। আবারও লজ্জাজনক মন্তব্য’।
যশ-নুসরতের বন্ধুত্বে রাজনীতি ফাটল ধরাবে না তো? যশ নিজেই এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। অভিনেতার কথায়, ‘আমি আজ বিজেপিতে যোগদান করছি সেকথা নুসরতকে জানাইনি। তাছাড়া আমাদের বন্ধুত্ব অভিনয়কে ঘিরে। রাজনীতিতে আসা মানুষের কাজ করার জন্য। আমার আরেক বন্ধু মিমিও তৃণমূলের সাংসদ। যে যার ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী রাজনীতি করে। এক বাড়িতে স্বামী – স্ত্রীও আলাদা রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে পারেন। বন্ধুত্বের মধ্যে রাজনীতি না ঢোকানোই ভাল।’