বর্তমানে তিনি হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ। এই কেন্দ্র থেকেই তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ভোটে জিতে প্রায় এগারো দিন হয়ে যাওয়ার। শনিবার তাঁর জয়ের উপলক্ষ্যে ধনিয়াখালি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা তাঁর জন্য আয়োজন করেছিলেন বিজয় উৎসবের। কিন্তু সেখানে গিয়েই রচনা আগে ছোটেন হাসপাতালে!
কী ভাবছেন নায়িকা শারীরিক কোনও সমস্যার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন? না না সে রকম কিছু নয়। আসলে বিজয় অনুষ্ঠানের যোগ দেওয়ার আগে তিনি হুগলির ধনিয়াখালি হাসপাতালে সারপ্রাইজ ভিজিট করেন। নব নির্বাচিত সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতালের নানা পরিষেবা নিয়ে বিএমওএইচ ও সিএমওএইচ-এর সঙ্গে কথাও বলেন। শুধু তাই নয়, রোগীদের স্বাস্থ্য নিয়েও খোঁজ নেন তিনি।
আরও পড়ুন: 'বাবা আমার কোচ', 'ফাদার্স ডে'-তে বাবা শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে আবেগে ভাসলেন ছেলে ঋতব্রত
শনিবার আগে হাসপাতালে যান নায়িকা। সেখানে চারিদিক ঘুরে দেখেন। হাসপাতালের খুঁটিনাটি পযবেক্ষণ করেন। রোগীদেরও নানা প্রশ্ন করেন। হাসপাতালে ভর্তি শিশুর মাথায় হাত বুলিয়েও দেন। রোগীদের জিজ্ঞাসা করেন, 'কেমন আছেন...'। এরপর নেত্রী প্রসূতি বিভাগেও যান। সেখানে গিয়ে জানতে চান ঠিক মতো সমস্ত পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে কি না। সেখানে আসা মহিলাদের আবদারে সেলফিও তোলেন রচনা। কাউকেই নিরাশ করেনি 'দিদি নম্বর ওয়ান’।
এই প্রসঙ্গে, TV9-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নব নির্বাচিত তৃণমূল সাংসদ বলেন, 'সবাই ভাল আছেন কি না, হাসপাতালে সব পরিষেবা সঠিক ভাবে পাচ্ছেন কি না, তা নিয়েই মূলত কথাবার্তা বললাম। তাঁরা জানালেন, খুশি আছেন। মানুষের পাশে থাকা আমাদের কর্তব্য। সিএমওএইচ, বিএমওএইচ-এর সঙ্গেও কথা হয়েছে। আগামী দিনে যা প্রয়োজন তার জন্য আমরা কাজ করব।'
আরও পড়ুন: মঞ্চ থেকে পর্দায় উত্তরণ! মুখ ও মুখোশের খেলায় কতটা জমল 'অথৈ'? প্রত্যাশা পূরণ করতে পারল কি?
প্রসঙ্গত, হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ৭৬,৮৫৩ ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। ২০১৯ সালে হুগলিতে জিতেছিলেন লকেট। রচনার এই জয়ের পর হুগলি জুড়ে স্লোগান উঠেছে ‘দিদি নম্বর ওয়ান’।
তাছাড়াও, ভোটের প্রচারের সময় সিঙ্গুরের দইয়ের বিরাট প্রশংসা করেছিলেন অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুগলির দই নিয়ে করা তাঁর মন্তব্য রীতিমতো ভাইরাল হয়েছিল। এমনকী তাঁর এই মন্তব্যকে ঘিরে তৈরি হয়েছিল নানা 'মিম'ও। তবে রচনার কথায় অনেকেই আবার এই দই চেখেও দেখেছিলেন। কিন্তু এই দই-এর স্বাদ এখনও লেগে মানুষের মুখে, আর তাই জামাই ষষ্ঠীতে একলাফে হুগলির দইয়ের বিক্রি অনেক বেড়েছে বলে দাবি করেছিলেন হুগলির মিষ্টি ব্যবসায়ীদের একাংশের।